তুমি মুখ ফিরিয়ে নিলে-
যখন আমি তোমার চোখে দৃষ্টি হেনেছিলাম,
না কি নতুন করে তাকাবে বলে
ফেলে দিলে পুরানো ধ্বংসস্তুপে-
জানা হলো না আর!
শ্যাওলার মতো পাথরের খাঁজে খাঁজে
শিকড়ে শিকড়ে আচ্ছন্ন জালে আটকে রইলাম আমি,
কত শত জল বয়ে চলে আমার পাশ দিয়ে
এক, দুই, তিন, কিশোরীর নামতা পড়ায় পড়ায়,
মাঝে মাঝে জলের ধাক্কায় সে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকা বাঁধন
ছিঁড়ে বেরিয়ে গিয়ে বলতে ইচ্ছে করে-
আমি যাবো তোমার সাথে; তুমি কি নিয়ে যাবে না?
সেই বৃষ্টি ভেজা দারুচিনি দ্বীপে,
তোমার তুলে নিয়ে যাওয়া নিভৃত অন্তরালে আমি একা,
চোখ বোজা অনুভূতির ছোঁয়ায় শিহরণ শরীরের প্রতিটি খাঁজে,
তবুও তোমার দৃষ্টি খুঁজে ফেরা
গহন অন্ধকার শরীরের ভিতর,
যন্ত্রণা ক্লিষ্ট শরীর একবার নড়ে উঠেই স্থির, অবিচল,
দাঁতে দাঁত চেপে ধরা মুহূর্তের আনন্দ চোখ রাঙায়,
না কি এ আমার বদনাম!
নিঃসঙ্গ নির্জনতা অক্টোপাসের মতো শক্ত করে জড়িয়ে রাখে,
আমি একা, একা, একা – শুধু শরীরে জেগে ওঠা কয়েকটি ঘাস
জীবনের সজীবতা শুষে খায়,
জানি না কি পেলে তার দাম!
আমি যাবো তোমার সাথে সাথী
সাথীহারা শূন্য নিঃসঙ্গতা ফেলে রেখে-