মাথার পরে নীল আকাশ ছাতা হয়ে থাকে
রাশি রাশি সাদা মেঘ গায়ে নেই তার আঁকা,
রঙে ভেজা তুলি কাটে না আঁচড় প্রেমের খাতায়,
একাকী প্রহরী পর্বত সীমানার পরে
বিগলিত বরফ চুঁইয়ে পড়ে বেদনার রোষে,
সে মাদল আজ পড়ে আছে মহুয়া তলায়
ফোটেনা বোল আর কোনো মাতাল দুটি হাতে,
কাদামাখা কিশোরের নেই কোনো খেলার সাথী,
ছেঁড়া পদ্মে ফোঁটা ফোঁটা জল; যেন অশ্রুকণা,
জল কেটে চলা সাদা হাঁসের গায়ে রক্ত ঝরে,
সে বিচারণ ভুমি আজ দেখো ফাঁকা
কদম গাছটা শুধু আছে একাকী মাঠে
নেই তার ডালে কোনো রাখাল, ধূলোমাখা গামছা গলে,
খয়ে যাওয়া সবুজ থেকে খুঁটে খায় একাকী ধেনু,
ঘরে ফেরা পাখিদের সমবেত বিষাদের মাঝে
বয়ে চলা প্রকৃতির তপ্ত শ্বাস
বলে যায় শুধু কানে কানে, আজও বেঁচে আছি,
খোলা জানালায় উঁকি দেয় শাল-পিয়ালের বন,
কার্নিশের টবে রাখা গাছটির পাতা ঝরা শেষ
বেঁচে আছে নগ্ন ডাল সময়ের সাথে,
দাঁড়িয়ে আছে সে পাহাড়টা অতিথির আশায়,
অগোছালো ঘরে পড়ে আছে এলোমেলো গল্পরা,
সারিসারি বীথিকায় ঢেউ তোলে ঝিরিঝিরি বাতাস,
সে বহ্নিশিখার আজ মাথানত, পড়ে আছে পোড়া ছাই
ধিকিধিকি আগুন তবু জেগে আছে শরীরে তার,
চলে গেছে রজনী, ফেলে রেখে রজনীগন্ধা
একাকী সাধের ফুলদানিতে, দুটি চোখের দুফোঁটা জল
আজও শুধু স্মৃতি-