সন্ধ্যার আগে কিছু মুহূর্ত নীরবতা বয়ে যায়,
সারাদিনের নিরবিছিন্ন প্রতীক্ষার পর
শ্রান্ত অভ্যাসের বশে ক্ষণমাত্র পিছন ফিরে তাকায়
নির্জন পরিত্যক্ত পথের দিকে।
ফের শুরু হল পথ চলা অকারণ।
অকরুণ চোখে চেয়ে থাকে শকুন সেই অর্থহীন মাংসপিণ্ডের দিকে,
অপেক্ষায় থাকে সব গতি থেমে যাওয়ার।
সেই মুহূর্তের অপেক্ষাই থাকে সে যখন
ভোরের আলো এক চক্ষুহীন, হৃদয়হীন, প্রাণহীন দেহ আবিষ্কার করবে
আর চমকে উঠবে, আর পৃথিবী তোলপাড় করে খুঁজবে সেই আততায়ী কে।
আর ভুলে যাবে সে, আর কিছুতেই মনে পরবে না তার,
তার পাশে হেঁটেছিল একদিন সেই শব, মৃদু বাতাসের মতো,
শিশিরের মতো, সূর্যের মেঘে ঢেকে যাওয়া রশ্মির মতো,
থেকেছিল তার সাথে অননুভুত যতো ইচ্ছার মতো।
দুপুর অধিষ্ঠিত অদূরে। তাপ, অগ্নি, চিতা।
ভস্মীভূত শরীর রেখে যায় না কোনও প্রমাণ।
কাল ভোরের আকাশে উড়বে ভস্ম-ধুল মুহূর্তকাল।
ভোর ছড়িয়ে দেবে এক রাশি পুষ্প তার বিস্মৃত সঙ্গীকে শেষ শ্রদ্ধাঞ্জলির মত।
মুছে যাবে স্মৃতি সব। মুছে যেতে দাও স্মৃতি সব চিরকালের মতো।