আমার তুমি, নও কোনো অপ্সরী
তবুও তুমি যেন এক মায়ার বিহঙ্গিনী
যার চলনেবলনে  ফুটে ওঠে যেন এক পদ্মপাতায় জড়ানো কোনো লতিকা।


আমার তুমির ভেজা চুলের সুবাস যতটা না আমায় টানে,  
তার চেয়েও নেশা হয়ে থাকে, যখন সে আটপৌরে শাড়ির আঁচল কোমরে গুজে রান্নায় ব্যস্ত থাকে।
তখন অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে তার ঘাম ভেজানো পিঠের ভাজে আলতো ছুঁয়ে দেয়ার নেশা সে তো আজন্মেও মিটবার নয়।


আমার তুমির রঙচঙে চেহারা টা যত টা না মায়াবী লাগে,
তার চেয়েও মায়াবি হয়ে ওঠে সে, যখন অভিমানের জল গড়িয়ে কাজল লেপ্টে একাকার হয়ে যায়। সে মায়াবতীর দৃষ্টি পানে চেয়ে যুগ পার করে দেয়াও সম্ভব।


আমার তুমি যতটা না কাজে পটু, তার চেয়েও তার ছেলেমানুষী গুলো বড্ড আপন লাগে আমার। যার মাঝে থাকে ভুল হয়ে যাওয়ার ভয়।


আমার তুমির আঙুল ছোঁয়ার নেশা আমায় যত টা না উদগ্রীব করে তোলে,
তার চেয়েও আপন লাগে, যখন আমার জ্বরের তাপ কমাতে চিন্তার দৃষ্টিতে বারংবার কপাল ছুঁয়ে দেয়ার ভাবনায় থাকে সে। সে ছোঁয়ার মাঝে থাকে আমাকে আগলে রাখার আকাঙ্ক্ষা।  


আমার তুমির নেই কোনো গুণ।
তবুও ব্যস্ততা শেষে তার হাতের এককাপ চা যেন সকল অবসাদ এক নিমেষেই দূর করে দেয়া। যে চায়ে থাকে কড়া লিকারের ভালোবাসাময় তৃপ্তি।


আমার তুমির বড্ড দোষ, যার মধ্যে অন্যতম হলো, আমাকে বড্ড ভালোবাসা। তাই তো শত দোষ হলেও অভিমানের দাড়িপাল্লা বাড়াতে সে দেয় না। শুধু বুক পাজরে মুখ লুকিয়ে কান্নার স্রোতে সব দোষ ত্রুটি ধুয়ে ফেলে।


আমার সত্যি এমন একটা তুমিই চাই, যে তুমিতে আমি নামক ব্যক্তি অনায়াসে ডুবে থাকতে পারে।