রাতের নীরবতা
অন্ধকারে ভেঙে গেছে!
এখানে আলো কেবলই আলো, অন্ধকার আর একাকিত্ব জেগে।
একটি পুরনো গাড়ির অ্যালার্ম
হঠাৎ বেজে থেমে গ্যাছে!
তুমি ওমন তো নও, তুমি তো মানুষ।
বেঁচে থাকো কেবল নিজের জন্য।
বেঁচে থাকো কেবল, স্বার্থপরের মতন।
কিন্তু ভালবাসা ছাড়া বেঁচে
থাকা যে দুঃখের মরণ।
নাকি গোলাপিআকাশে মেঘের বরণ!
যেখানে তারারা করে থাকে ভীষণ পণ;
টুকরো মেঘ উঁকি দিয়ে জানায় কারণ।
জানো, অভিমানে তারারা সব নিভে গেছে আগুনের মতন।
তোমাকে সালাম, প্রিয়তমা।
সাগরের বুকচিরে ছুটেচলা জাহাজের মতো তুমি ফিরে পেয়েছ অজস্র জল আর নক্ষত্রের সমুদ্র।
পেয়েছ ফিরে তোমার রাজত্বের সবটুকু রাজ্য, মিথ্যে আশার চাদর গা'য়ে নিয়ে কেন এ পথচেয়ে থাকা।
যে পথে হাঁটোনি তখন, এখন কেন আবার ফিরে পথচাওয়া?
জানো, গোধূলি শিখার মতো লড়াই ছিল তোমার চোখজুড়ে।
চঞ্চলতার আগুনে, হৃদয়ে ভেসে ওঠেছিল তোমার মিষ্টি জলছবি।
শরতের দূরত্বের মতো করে তাকিয়ে ছিলাম তোমার কালোমেঘের দিকে।
তুমি ছিলে কেবলই আমার, একান্তই বিশ্রামের একটি সুউচ্চ আশ্রয় হয়ে।
ছিলে সমুদ্রের গভীরতার মতো নিকষ আঁধার এই হৃদয়ে!
ছিলে এক মায়াবিনী জাদুকরের মতন, আমাকে সবটুকুই ছুঁয়ে!
পলাতক সূর্য তোমার গাছপালা খোঁজে,
পৃথিবী দৃঢ়তার মধ্য দিয়ে পালিয়ে যায়,
সমুদ্রপাখির মতো সময় উড়ে যায়!
তুমি যেন ঘুমিয়ে যাও, শহরের অপরাজেয় ধুলোয়।
রিনিঝিনি শব্দে যে সকাল নামে , তার বিকট শব্দ নিয়ে তুমি দিব্য কাটিয়ে দেও তোমার জীবন!
বলতে পারো আজ ক'তারিখ যেন?
চশমার কাচমুছে আমার দিকে তাকিয়ে নিষ্পলক রুবা?
রুবাবার দিকে তাকিয়ে, চোখের উপর আমার চোখ পেতে দিয়ে বলি,
এ হৃদয় আমার রুবা!
তোমাকে কেবল ফিরিয়ে দিলাম।
আর প্রলয়ের ঘন্টাধ্বনির মত ঘন্টা বাজিয়ে জানালাম
সালাম প্রিয়তমা, তোমাকে লাল সালাম!