এই চলনা,বিয়ে করি।
   আস্তে বলো,মানুষ শুনলে বলবে কী?


কী বলবে?বিয়ে পাগলী?
তা বইকি।


করনায় যদি মরে যাই,অতৃপ্ত আত্মা বউ হয়ে ঘুরবে যখন,বুঝবে তখন।
-মজাই হবে,পেত্নী বউ কেমন হয় দেখতে ইচ্ছা ভীষণ।


গোমরা মুখে আবার বললাম,বিয়ে করবে?
আহ!এই বাজারে কাজী তুমি কোথায় পাবে?


এদেশে  খুঁজলে সব পাওয়া যায় ।
যেমনি ভাবে খাটের তলায় তেল পাওয়া যায়।

প্রেমিক মশাই কিঞ্চিৎ ভেবে বললো,আচ্ছা খুঁজে দেখছি কেমন?
হেসে বললাম,আমি না হয় বউ সাজছি এখন?


দুর্মূল্যের  বাজারে কাজী হাজির।
পিপি ই পরে বর- বউ উভয় ও হাজির ।


কাজী হেসে জিজ্ঞাসা করলেন,তা মশাই সাক্ষী কই?থাকার কথা ত বর বা বউয়ের সঈ!
বেচারা মুখ মলিন করে বললো,আকাশ বাতাস ছাড়া এখন সাক্ষী পাবো কই?


অত:পর আকাশ, বাতাস, করোনাকে সাক্ষী রেখে দুজন হলাম সঙ্গী ।
কাজী ভাই হেসে বললেন,হ্যান্ডস আপ!এখন আপনারা বন্ধী।


মানে কী!মানে কী!ভয়  করছে ভীষণ।
কাজী ভাইয়ের চেহারার এ কেমন রূপ ধারণ?


কাজী হেসে বললেন,করোনার মাঝে বিয়ে?
আমিতো পুলিশ হয়েই এলাম কাজী হয়ে।
হাত কড়া পরে,গাড়িতে জলদি উঠো দুজন।
শাস্তি হবে,টের পাবে বিয়ের মজা তখন।


গাড়িতে উঠে বরকে বললাম কী এনেছো পাজি?
বর মশাই অসহায় হয়ে,কী করবো পুলিশ প্রেমিকার চেয়েও  দিল বড় ফাঁকি।


দুজন দুজনের কাছে এসে মুচকি হেসে বললাম,
হাত কড়া দিয়ে হলেও বিয়ের বাধনে বাঁধলাম।
আচ্ছা জেলখানাতেই কী বাসর হবে?
লজ্জা করছে ভীষণ।
বরমশাই খানিক কাছে এসে বললো,লজ্জার নাই কোন কারণ।


কাজী পুলিশ ধমক দিয়ে,
বললো,দুজন সরে বসুন।
১মিটার দূরত্ব আপাতত রাখুন।


বরমশাই রাগান্বিত হয়ে পুলিশকে বললো,
কেন হে ভাই,আমাদের কী করোনা পজেটিভ এসেছে বলুন?
সবে মাত্র বিয়ে করেছি,এবার না হয় একটু আমাদের একা ছাড়ুন।


এত কিছু জানিনা,নিয়মটাতো মানুন।
ভূয়া বিয়ে হয়েছে তাই আপাতত লজ্জাকরে মাক্স দিয়ে নাকটা অন্তত ঢাকুন।


দূরে সরে বরমশাই গোমরা করে মুখটি।
আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,আর বিয়ে করতে চাইবে কী?


নকল মাস্ক পরে দুজনে দিলাম হাঁচি।
হাঁচি শুনে গাড়ি থামিয়ে পুলিশ বললো,কী করলেন?কী করলেন?এ কী?


দুজনকেই একই সাথে করা হল লকডাউন।
বরমশাই হেসে বলে উঠলো,ওয়াও!জেলখানায় করবো তাহলে ১৪দিন হানিমুন!


জেল কোয়ারেনটাইনে বসে,দুজন স্যানিটাইজার মাখলাম।
বর মশাই হাত বাড়ালেই,শক্ত করে ধরলাম।


হঠাৎ জেলখানার দরজা খুলে সেই পুলিশ  করলেন প্রবেশ।
প্রনয় মুহুর্তটা নষ্ট হয়ে দুজন  আহত ই হলাম বেশ ।


বরমশাই আহত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন,কী হয়েছে ভাই?
সুস্থ মানুষের এখানে তো আসার কথা নাই।


পুলিশ ভাই গোমড়া মুখে দিলেন একটু কেঁদে।
কাঁদবেন না ভাই, বলেন আমরা শুনবো,শত হলেও আপনি আমাদের কাজী।


কী আর বলবো ভাই! খানিক আগে, সবার মাঝে ভুল করে দিয়ে ফেলেছি কাশি।


দুজনেই দিলাম অট্ট হেসে,কাজী পুলিশ ও সাথে মুচকী হাসে।
মহামারীতে তিনজন ই গেলাম হাঁচি-কাশিতেই ফেসে।


বরমশাই পুলিশের হাতে তার মুঠোফোনটা দিয়ে বললেন,
এখন না হয় আমাদের কাপল পিক ই তুলেন।