চোখের পানি ঝড়িয়ে লাভ নেই
সে তোমার কান্নাকে দেখবে না,
আর্তনাদ করে লাভ কি?
যদি না সে কান পেতে শুনে।
মস্তিষ্কে আঘাত-ই বা কার জন্য হানছো?
সে তোমার আঘাতে হাত বুলাবে না।
হৃদয়কে পুড়িয়ে কি লাভ
যদি না সে ক্ষততে প্রলেপ লাগায়।
.
কি যে বলো হায় হায়!
ইহা সংশোধনের আছে কি কোনো উপায়?
আমি নিরুপায়,আমি বড্ড অসহায়।
তাহার ভাবনাতে না কেঁদে বেঁচে থাকা,
সে যে অনেক বড় দায়।
আহারে বোকা মেয়ে মাফি,
হতে পারোনা তুমি দুর্দান্ত একটা কাফি?
ক্ষোভের কষাঘাতে লালচে রক্ত,
জমাতে পারো না ললাটে?
ক্ষুদ্ধ হয়ে ধ্বংস করো আবেগ,অনুভুতি আর আকাঙ্খাকে,
জাগাও অতৃপ্ত স্পৃহাকে।
.
কি যে বলো হায় হায়!
কখনও কি দেখেছো রাগ আর ক্ষুদ্ধতা কখনও জয়ী হয়?
সত্যের যেমন মৃত্যু নেই,
ভালবাসায় তেমন ক্ষোভের জায়গা নেই।
এই যে আবার শুরু করলে
যা তোমায় আঘাত দেয়,কাঁদায় তাকে তুমি ভালবাসা বলো?
বুঝেও কেন অবুঝ হও
ভালবাসা যন্ত্রনা দেয় কিভাবে,
বিষয়টা জ্ঞানে নাও।
.
কি যে বলো হায় হায়!
ইতিহাস ঘেটেছো কখনও?
যন্ত্রনা ছাড়া কারো ভালবাসাই পূর্ন নয়।
আঘাতেই তো কতটা ভালবাসি,
তাহা বোধগম্য হয়।
.
নাহ,অবুঝকে বুঝাতে গেলে হতে হয় হতাশ।
তবে তুমি এভাবেই নিজেকে দহনে উত্তপ্ত করো, ফেলে দীর্ঘশ্বাস।
পুড়তে পুড়তে না জানি কবে হয়ে যাও জিন্দালাশ।
কি যে বলো হায় হায়!
দহনে পুড়েই তো ভালবাসা শুদ্ধ হয়,
ইহা হয়ত পৃথিবীর অজানা নয়।
জিন্দালাশ হবো কি আর,হয়ে গেছি
মৃত লাশ হওয়ার আগে তাই বারে বারে তাকেই খুঁজি।
তার জন্য অনন্তকাল ভালবাসা থাকবে এই পোড়া মনে,
তাইতো তাকে চেয়েছি,তবুও চাইবো
তাইতো ফিরে এসেছি,তবুও ফিরবো
ভালবাসার পিছুটানে।