প্রিয়জন তো সবাই হতে চায়,আমি না হয় কারো প্রয়োজন হয়েই থেকে গেলাম,দিন শেষে ক্লান্ত হয়ে আমার কাঁধেই না হয় তার মাথাটা রাখলো,চিন্তাহীন দু-দন্ড না হয় ঘুমিয়ে নিলো,


বুকের ভিতরে জমিয়ে রাখা কষ্টের সমস্ত আবেগ অনুভূতি গুলো না হয় আমার কাছেই খূচরো পয়সার মতো জমা রাখলো,অথবা আকারন বকবক টা না হয় আমিই শুনলাম,


প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে চিৎকার চেচামেচি করে মন্দ দু'চারটা কথা না হয় আমাকেই শুনালো,অভিমানি হৃদয় নিয়ে দূরে সরে থাকলে,আমিই না হয় মান ভাঙ্গালাম,
অভিযোগ না হয় নাই তুললাম,


কারো চিঠির আসার প্রতিক্ষায় শূন্য ডাক বাক্সে হাতটি যে বুলায়,তাকে না হয় আকাশের ঠিকানায় দু'চারটা চিঠি পাঠালাম,দু'চোখে অগনিত স্বপ্ন নিয়ে না সে একটু উদাসিন হলো,ক্ষতি কি??


স্বপ্ন দেখে নয়,স্বপ্ন দেখিয়ে আজীবন ভালো রাখার ওয়াদাটা না হয় আমিই করলাম।


দিন শেষে এতোটুকু তো সান্তনা পাবো যাক,পৃথিবীর এই সাড়ে সাতশো কোটি মানুষের মধ্যে আমিই একজন যে কিনা কারো প্রয়োজন হয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছি, কোনো একজনকে বাঁচিয়ে রাখার সম্পূর্ন স্বাদটুকু  দিচ্ছি।এটাও কি কম পাওয়া?


আসলে কেউ চাইলেই কারো দু'টো বেদনার কথা হৃদয়ে তুলে নিতে পারে না,কাউকে দু'টো কথা বলে হাসাতে পারে না,হাতের স্পর্শে কারো চোখের জল মুচতে পারে না,এমন কি একটু সঙ্গ দিলে যে মানুষটা প্রতিদিন একটু একটু করে বেঁচে থাকে সেটাও কেউ করতে পারে না।


কারো সেবা করতে পারে না,হাজার চাইলেও কারো উপকার করতে পারে না,ইচ্ছে করলে পেট ভরে কাউকে খাওয়াতে পারে না,এমনি কি শত চাইলেও মুক্ত হস্তে  কিছু দান করতে পারে না।


এসব করার জন্য ভাগ্য লাগে,খোদার অশেষ রহমত লাগে,সুন্দর একটা মন লাগে,যা সবার থাকে না,
সৃষ্টি কর্তা সবার হাত দিয়ে সব কিছু করান না।


খোদার সেই অশেষ রহমতের আশায়,দর্হ্য নিয়ে সারা জীবন ধরে আমি না হয় কারো প্রয়োজন হয়েই থেকে গেলাম,প্রিয়জন নাই বা হলাম।।