কোনো এক শরতের ভোরে দেখা হবে আমাদের
আকাশে সাদা মেঘের পালকি, কিংবা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি!
তুমি অপেক্ষা করবে, বর্ষার শেষ কদম হাতে দাঁড়িয়ে!
আমি নাহয় ইচ্ছে করেই খানিকটা দেরি করলাম।


আচমকা সামনে এসে দিলাম নাহয় তোমাকে চমকে!
ভীত সন্ত্রস্ত তুমি টা সেদিন খানিক টা ভরকে যাবে।
একটু রাগান্বিত স্বরে বলবে,
আর কত অপেক্ষা করাবে?


আমি খানিকটা হেসে বলব-
এতটুকুতেই এই হাল!
হঠাৎ তোমার চোখ পড়বে
মায়াবিনীর সেই কাজলে আবৃত নয়নে।
বেশ কিছুক্ষণ পরে তুমি বলে ফেলবে,
খুব কি তাড়া দিয়েছিলাম?


আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করব-
রাগ কি তবে কমেনি?


কাজলের রেখা যে বাহিরে এসেছে
সে খেয়াল কি আছে মহারানীর?
চোখ তুলে নাহয় বলব আমি,
সে তো তোমারই জন্য!
তবে কি নজরে পড়েছে মহাশয়ের?
সে আবার বলতে!


কিছুটা লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিলাম নাহয়!
বাব্বাহ! এত লজ্জা?
কি করে বুঝলে শুনি, এটা যে ইচ্ছাকৃত ভুল?
কাজলের রেখায় ভালোবাসা লেখা আছে
খেয়াল করেছ?
সব টা যে আমারই জন্য!


হঠাৎ কিছুটা সময় নিরব নিস্তব্ধ!
দু'জনের দৃষ্টি এক মোহনায় আটকে
অথচ নির্বাক হয়ে রবো সময়ের গন্ডিতে আটকা পড়ে।
অবশেষে চলে আসার সময় ঘনিয়ে আসবে,
আরেকটু সময় কি থাকা যায় না?
আরেকটু কি ভালোবাসা যায় না?
ভালোবাসা তো চোখে লেপ্টে এনেছি
তৃষ্ণা মেটেনি?
এ তৃষ্ণা যে এক যুগেও মিটবার নয়
সে কি তোমার অজানা?