আধখানা লাল চুড়ি
         গেঁথে আছে বুকে।
ওই মেয়েটির,নাম ভুলে গেছি,
থাক ছলনাময়ী নারীর কথা।
কত প্রজন্মের স্মৃতি আঁকড়ে,
নির্বাক শুয়ে আছি আমি।
কিন্তু আজো মনে করতে পারি নি
কে আমার নামদাতা?
গল্পের বৃত্তে বাদাম ভাঙ্গার
           সোনালী দিন,
ব্যর্থ প্রেমিকের একজোড়া দীর্ঘশ্বাস
ঘোলা আয়নায় কিছু আশ্বাস-বিশ্বাস।
সাফল্যের মঞ্চে জীব স্বপ্নের প্রতিযোগিতা,
আজো কেউ ডাকে আলু মামা বলে,
কিন্তু আম্য কে নাম দিল?
আমার জমজ বোন বৃন্দাবন
সেও বলতে পারে নি নামের ইতিহাস!
স্মৃতির ফ্রেম আর সেলফি ফ্রেম,
কাগজের নৌকায়,
আমার বুকে ভুইফোড় বৃক্ষের
           শুকনো পাতায়
বর্জ্য প্লাষ্টিকে,বিষাক্ত নিকোটীনে
ভরিয়ে রেখেছি কত প্রজম্নের স্মৃতি।
কিন্তু কেউ বলে না কে নাম দিল আমায়?
আমি সাক্ষী-গিটারের তারে সব
অভিযোগ মেয়েটির বিরুদ্ধে।
বড়লোক বাবার দু’চাকার বিকট শব্দ
শান্তি নষ্ট করত রোজ বিকেলে,
যেন পিচঢালা পথ পেয়েছে।
মুখ ফুটে কোনোদিন নিষেধ
        করতে পারি নি।
পড়ন্ত আকাশের কপালে
       সিঁদুর রাঙ্গা মেঘ
আর কতৃপক্ষের বাঁশি
       বলে দেয় ঘুমাতে হবে।
ল্যাম্পপোষ্টের আলো আর আমি
জেগে থাকি ভুইফোড় বৃক্ষ নিয়ে।
মাঝে মাঝে পথিক হাঁটে বুকের পরে।
আমি গোপাল লালের দাদুর মতো
       গলা হেঁকে জিজ্ঞ্যেস করি-
‘কে যাস রে? বলতো আমার নাম
           কে দিলরে মধুবন?’
যেন গতি বাড়িয়ে দিয়ে হনহন
        করে হারিয়ে যায়।
আমি ঘুমিয়ে পড়ি,সকালে আবার
   স্মৃতি কুড়াতে হবে।