শীতের এই পরন্ত বিকেলে
উঁকি দিয়ে যাচ্ছে দিনের শেষ আলো টুকু
ক্লান্ত সূর্যটা ঢলে পরছে পশ্চিম দিগন্তের শেষ সিমানায়,
স্বার্থপর এই স্বন্ধ্যা মেতে থাকে নিজেকে নিয়ে
যেন তার সৌন্দর্যের ভাগ সে কাউকেই দিবেনা......
হয়তো বোকা চীল গুলোর মনেই থাকেনা
সীমানা পেরিয়ে যতই উপড়ে ভেসে বেড়াক
বীরদ্বর্পে প্রসারিত দুটি ডানায় ভর করে ,
অবশেষে ফিরে আসতে হয় নীড়ের টানে.......
ওই বোকা চীল গুলোর মতো আমাকেও যে এক সময়
ফিরে আসতে হয় অধরা নামের নীড়ের খোঁজে.......
কি করছ তুমি অধরা............?
হয়ত আঙ্গিনায় দাড়িয়ে আছ আনমনে
এই পরন্ত বিকেলের আভায়,
তোমার বাদামী রেশমি চুলে ঝিলিক দিয়ে যাচ্ছে
অলস রোদের সোনালী কিরন....
অথবা তোমার প্রিয় মানুষটি ফেরার অপেক্ষায়
প্রহর গুনে যাচ্ছ বড় বেশি ব্যাকুলতায়
হয়ত মনেরই ভুলে ভাবছ তুমি এখন আমায়.....
না না.....তা কেন হবে,যে মানুষটা হাড়িয়ে গেছে
বহুকাল আগে তোমার জীবন থেকে
১৩টা বসন্ত সণ্যাস হয়ে স্বাধনা করে চলেছে
অধরা নামের দেবীর আরধ্যে
সে মানুষটার কথা তুমি কেন ভাবতে যাবে....?
এখনতো তোমার বেশ কেটে যায় সময়
স্বামী,সংসার আর ছেলে পুলে নিয়ে.............
এখন কি আর এই ছন্নছাড়া অরণ্যের কথা
ভাববার সময় তোমার আছে............!
এখনতো তোমার অনেক ব্যাস্ত সময়
একাজ সে কাজ করে করে সময় কেটে যায়
যে সময়টা আমাকে এখন হতাশার সাগড়ে ভাসায়
আমাকে যন্ত্রনায় কাদাঁয়,জ্বালায়-পোড়ায়.....
অধরা.....এ কেমন সন্যাস জীবন আমার ?
এমনটি তো আমি চাইনি কখনও
তোমাকে ছাড়া একা একা বেঁচে থাকা যে ,
কতোটা কষ্টের তা তুমি বুঝবেনা কখনও.........
বড্ড বেশি অগোছলো যে তোমার অরণ্য
তোমাকে ছাড়া বড় বেশি অসহায়......
সিগারেটের ধোঁয়ায় উঁড়িয়ে সোনালী অতিত
এক রত্তি সুখ খুঁজে ফিরে প্রতিটি নির্ঘূম রজনি ....
মনের মাধুরি দিয়ে যখন তুমি
ফুল তুলে চলো সাঁদা রুমালে,
তখন আমি তোমায় সাঁজিয়ে তুলি
কবিতার ছলে শব্দের অলংকারে......
যখন তুমি সুখের স্বপ্ন দেখে চলো
গভির ঘুমে প্রিয়জনের বাহু বন্ধনে
তখন আমার দুচোখ ভিঁজে যায় শ্রাবনের জলে
অথবা কেটে যায় রাত শরৎ কাহিনী পড়ে...........
অধরা..... বলতে পার  এ খেলা আর কত দিন ?
কতদিন আর এই একা একা পথ চলা......?



নির্জন আহমেদ অরণ্য