কেমন আছো অধঁরা.....
এই বসন্তের বাসন্তী স্বন্ধ্যায়.......?
মেঘ হীন নীল আকাশটায় হয়তো
এখন শুরু হয়ে গেছে রক্ত ক্ষরন...
ক্লান্ত শ্রান্ত বালি হাঁস গুলো হয়তো বা
ফিরে যাচ্ছে আপন নীড়ে ,প্রিয় সঙ্গিনীর কাছে....
হয়তো এখন তুমি
দিনের শেষে ক্লান্ত চোখে তাকিয়ে আছো
আঙ্গিনায় ঝরে পরা শুক্ন পাতার পানে......
আর ভাবছো তুমি এইতো কয়েকদিন পরেই
সবুজের আদরে ভরে উঠবে পাতা হীন নগ্ন বৃক্ষ গুলো
প্রানের উচ্ছাসে মেতে উঠবে প্রকৃতি.....
যেমনটি তুমি মেতেছিলে মেহেদীর রঙে
ফেলে আসা ৮ টি বছর আগে......
আর ঝরে গেছে এই অরণ্য শুক্ন পাতার মতো....
যে ফাগুনী বাতাসে তুমি ভরে নাও প্রান
সে বাতাসে আমি আজও ভেসে যাই ঝরা পাতার মতো..
যে অধঁরা নামের নদী একদিন ভেঙ্গেছিলো আরণ্য কূল
সে নদী তো ভেবে দেখেনি কখনো ভুল ছিলো কতোটুকু কার
এতোদিন পরে কি আর মনে পরে ঝরে যাওয়া অরণ্যের কথা
ভেবেছ কি অধঁরা কখনো প্রাপ্তি পেয়েছিলে কতোটুকো আর....
এখনও আমি এক বুক শূন্যতায় রাত করি ভোর
এখন আমার ক্লান্তি নেই ঘরে ফেরার.....
কেউ থাকেনা বসে এখন আর আমার অপেক্ষায়...
ফাগুনের রঙে রাঙেনা এ মন আগের মতো আর...
শান্ত নিথর হয়ে পরে থাকে প্রান হীন নদীর মতো
বহু দিনের অবহেলায় অযতনে জীবনের পরিচিত পথ
আজ হাড়িয়ে গেছে স্মৃতির গভিরে....
এ বসন্ত তোমার অধঁরা , এ ফাগুন তোমার...
বাসন্তী শাড়িতে তুমি সাঁজো কাঁচা ফুলের অলংঙ্কারে
আর আমি না হয় পুড়েই গেলাম ফাগুনের আগুনে......!



নির্জন আহমেদ অরণ্য