আমি আর তোর জন্য পথ চেয়ে বসে থাকি না


নির্ঘুম মধ্য রাতে তোর বিহনে একা একা কাঁদি না ,


দেখ আমি কেমন করে বদলে গেছি


কেমন করে বেঁচে আছি দিব্যি তোকে ছাড়া ।


ঘামে ভেজা তোর ছেঁড়া চিঠি টেপ দিয়ে জোরা লাগিয়ে


এখন আর বুক পকেটে তুলে রাখি না ...


তোর ছবির ফ্রেমে জমেছে ধুলোর পাহাড়


তবুও এখন আর যত্ন করে মুছে রাখিনা ।


তোর হাতে লাগানো বাগানের ঐ পেয়ারা গাছটায়


জল দেইনি কতদিন...!


জল তেষ্টায় মরেছে হতভাগা অবলীলায় ,


পাষাণের মত শুনেছি কান পেতে তার আর্তনাদ


এখন তার বুকে উঁই পোকাদের বাসা !


দেখ আমি কেমন করে বদলে গেছি


আমি বাঁচতে পারি তোকে ছাড়া...!


হলুদ বিকেল অথবা পূর্ণিমা রাত এখন আর


আমাকে সুখের আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে বলেনা ভালবেসে


কাছে আয় আমার আরও কাছে  আয়  


জুড়িয়ে নে প্রাণ ভরে তোর দুচোখের তৃষ্ণা ...


শ্রাবণের জল ঝরে যায় আঙ্গিনায় আপন মনে


কই আমাকে তো এখন আর কাছে ডাকে না


বলেনা ওরে আয় আমার শীতল জলে


স্নান করে মিটিয়ে নিয়ে যা তোর যত তৃষ্ণা ...


এখন আমি হয়েছি অন্ধ , মনের সব কটি জানালা


হয়েছে বন্ধ ...।।  


ঝরে গেলো কোন ফুল , ভাঙল নদী কোন কূল


কিছুই আমাকে আজ আর ভাবায় না ,


দেখ আমি কেমন করে বদলে গেছি


একা একা তোকে ছাড়া কেমন করে বেঁচে আছি ।


অগোছালো ঘর আমার ,অবহেলায় পরে থাকে


যে খানে যা খুশি...  


মৃত লাশের মত দগ্ধ হয়েছি কত রাত


তোর সৃতির চিতা বুকে ধরে , আর এখন ......


আর এখন


খুব বেশি একটা ক্লান্ত না হলে যাওয়া হয়না বিছানাটিতে


বালিশে মাথা রাখলে আজও পাই নিঃশ্বাসে


মৃত মানুষের শরীরে ছড়ানো কর্পূরের গন্ধ ,


দম বন্ধ হয়ে আসে , যমদূতের ছবি ভেসে ওঠে চোখে


আমি প্রতি রাতে মৃত্যুর মুখমুখি হই আজও


তোর প্রেমের সর্বনাশে !


তবুও দেখ আমি বদলে গেছি কেমন করে...


কি করে বেঁচে আছি তোকে ছাড়া ......।।





নির্জন আহমেদ অরণ্য