ধরণীর কেউ জানেনা,কেবল তুমিই জানো আমি স্বার্থপর।
তুমিই প্রথম হাসতে হাসতে কথার ছলে বলেছিলে আমি স্বার্থপর।
সেদিন তোমার কিছু না ভেবেই বলা কথা টা নিয়ে ভেবেছি আমি।


এবং আজ নিঃসংকোচে স্বীকার করে নিলাম আমি সত্যিই স্বার্থপর।
আমি আবিষ্কার করলাম যেদিন থেকে তোমাকে ভালোবাসতে শুরু করেছি,
তখন থেকেই তোমার দিকে কেউ তাকালে মানতে পারছি না।


আবদারে আহ্লাদে কেউ থাকুক চাইছি না,চাইছি না কেউ ডাকুক তোমার ডাকনাম ধরে।
প্রচন্ড শীতে তোমার ঠোঁটের কাঁপা কাঁপা সেই অপরূপ দৃশ্য কেউ দেখুক চাইছিনা।


আমি স্বার্থপর! হ্যাঁ !আমি স্বার্থপর!
আমার ভালোবাসা আমাকে তীব্রভাবে স্বার্থপর হতে সাহায্য করেছে।
এই যে আমি স্বার্থপর হয়ে গেছি তোমাকে ঘিরেই,
এতে আমার কোন আফসোস নেই, অপরাধ বোধ নেই।


তোমাকে ভালোবাসার পর রোজকার ভালো লাগা চাঁদ কে নির্বাসনে পাঠিয়েছি চিরতরে আমার জীবন থেকে।
তোমার ঠোঁটের কোনে হাসি দেখবার পর স্বেচ্ছায় ছেড়েছি প্রিয় ফুলের সুভাস ।


আমি স্বার্থপরের মতো চেয়েছি তোমার ধরনী জুড়ে আর কেউ না থাকুক আমি বিহীন।
তোমার আকাশ,দেবরাজ, বসন্ত, তোমার সমুদ্র শুধু মাত্র আমার একার ধরনী ।


তুমি চাইলে নিজের ইচ্ছে মতো আমাকে ছেঁড়ে যেতেই পারো !
হতে পারো আমার মতো স্বার্থপর ,
কিংবা হয়ে যাও আমার দেখতে পাওয়া, ছুঁতে পাওয়া !
কেবলি আমার ঈশ্বর ।।