বুকের মধ্যে হুটহাট কেমন করে জানি,
কান্না কান্না লাগে।
এই কান্না টা প্রকাশ করা যায় না,
এই কান্নার কোন ভাষা নেই, ইঙ্গিত নেই,ঈশারা নেই।
সময় অসময় বুকের ভেতরে কোথেকে যে এরা উদয় হয়,
নিজেতো বুঝিই না,কাউরে বোঝাতেও পারা যায় না।
কি ভয়ানক বিপদ!
রাত বিরেতে ফুঁপিয়ে কান্না করা যাবে ভাবলেই,
এই কান্নার দলেরা চিৎকার করতে উঠে পরে লাগে।
এই কান্নার কারণ যেহেতু অজানা,
তাই চিৎকার করে সবাইকে জানানোও যাবেনা।
কারণ অজানা না,আসলে ঘৃণায়  লুকিয়ে রাখা !
কারণ হতে পারে ছোট্ট বেলার কোন অবহেলা,
কিংবা পরিবারের/আত্মীয় সম্পর্কের নাম ধারী
কোন হায়েনার  ভয়াল থাবা।
হারিয়ে ফেলা প্রিয় কোন-বই,বল,ডায়েরি,
পুতুল কিংবা কলমের জন্য।
কান্না টা বার বার নিজের কাছে হেরে যাবার জন্য,
প্রিয় বন্ধুর অবিশ্বাসের জন্য,স্বপ্ন হারানো ভয়ের কান্না।
কারোর কাছে তো আবার, এর ওর কাছ থেকে ১৩ টাকা
ধাঁর করে এনে সিগারেট কিনে রাতে বিরেতে সেই
সিগারেট উল্টো ধরিয়ে ফেলার কান্না,
কিংবা হারিয়ে ফেলার কান্না।
আসলে এই কান্নার কোন নাম দেয় না কেউ,
তবুও অজানা কারণে ,
শুধুমাত্র এই কান্না গুলো কেই আঁকড়ে ধরে বাঁচে।
তাই এই কান্নার নাম দিলাম আমি,
ব্যক্তিগত আর্তনাদ।