যতবার প্রদীপ জ্বালিয়েছি আমরা
নিভে গেছে বারে বারে ,
ঈশ্বরের চোখে আমরা থাকি
নিকষ কালো অন্ধকারে ।


বেঁচে থেকেই হয়েছি মৃত
রাখেনি তো কেউ খবর ,
আঁধার ঘিরে রেখেছে প্রণয়
তবুও ঝলমলে শহর।


পাখির মতো উড়তে চাওয়া
ফড়িঙের মতো ছুট ,
স্বপ্ন গুলো ঈশ্বর নিজেই
করে গেছে লুট ।


দোষ দিবো আজ কাকে আমি
দুঃখ গুলো কোথায় রাখি?
কান্না গুলো লুকিয়ে কেন
অদৃশ্য জলে ভেজে আঁখি?


কথারা আজ দিতে পারেনা
কোন রকম শান্তনা,
বুকের পাঁজরে মৃত্যু শোক
নিঃশ্বাসে ফেরে যন্ত্রণা ।


মুক্তি মেলে না বিষাদের তাই
বদনে মুখোশ মলাট,
কোন বিরহের কালিতে ঈশ্বর
এঁকেছো আমার ললাট?


হাতের রেখায় দিলে মানবতা
আর অন্তরে সম্মান ,
কাঁদতে গিয়েও চিৎকার থামে
কেঁপে উঠে আজ প্রাণ ।


প্রিয় মুখের হাসি ছাড়া আমি
কিচ্ছু তো আর চাইনি ,
ঈশ্বর তুমি জবাব দিও তাই
জীবন কে কেন পাইনি?


জীবন মানে আমার কাছে
অনাহারে না থাকা,
ভালবাসার মমতায় শুধু
স্বপ্ন আঁকড়ে রাখা ।


অন্যের ভালো করতে গিয়ে
নিজেই হলাম দোষী ,
জীবন মানে আমার কাছে
প্রিয় মুখের হাসি ।।