কতোদিন কথা হয় না তোমার সাথে,
কতোকাল তোমায় বলিনি গল্প গুলো.
চিরকুটের মতো জমানো রোজকার হাজারো কথা
যেগুলো বলার ছিল শুধুই তোমায়।
কতোদিন গেলো,কথা এসে আঁটকে ছিল ঠোঁটের ডগায়,
কিন্তু শব্দ হয়ে প্রকাশ হওয়ার আগেই থেমে গেছে ।
তুমিও জানতে চাওনি কেমন আছি?
পুরনো মাথা ব্যাথাটা এখনো যন্ত্রণা দেয় কিনা?
আজো সেই মন খারাপের মেঘেরা উড়ে বেড়ায় কিনা?
জানতে চাওনি, কিংবা,আমিও চাইনি জানাতে,
হয়তো মনের কোথাও একটা অব্যক্ত লোভ ছিল,
হয়তো তুমি এসে ভেঙ্গে দেবে।
দুজনের মাঝখানের মৌনতার এই দেয়াল
কিন্তু হয়নি কিছুই।
অথচ দুজনে ছিলাম একই ছাদের নিচে
একই ঘরে পাশাপাশি।
কিন্তু,দুজনের মাঝে ছিল যোজন যোজন দূরত্ব।
দূরবীনে চোখ রাখলেই যেমন,দূরের নক্ষত্র স্পস্টতর হয়,
ঠিক তেমনি দূরত্ব ঘোচিয়ে তুমিও পারো,
আমার চোখে চোখ রাখতে …
সমুদ্রের গভীরে ,পাহাড়ের অপারে
অথবা দিনালোকের গোলকপিন্ড যেখানে,
তার চেয়ে তোমার আমার দূরত্ব ঢের বেশী কি ?
ঠিক যতটা পথ তুমি গিয়েছ,ততটা পথ পিছিয়ে রয়েছি।
কিন্তু যেটুকু দুরে গিয়ে,তুমি ভুলে গেছ আমায়,
সেইটুকু নিয়মের ব্যাতিক্রম করে তোমাকে ভুলা হল না আজও …
পাগলা হাওয়ার মত ;ছুটে যাওয়া ট্রেনের মত -
সময়ের স্রোতে যেন তুমি আমি,
দিনকে দিন দূরে আরো দূরে সরে গেছি।
আর কত দূরত্ব বাড়িয়ে না জানি,
দেবদূত হয়ে যাবো মেঘের ওপারে …