তুমি কইতা!
এই দুনিয়ায় ভালোবাসা ডাই সব।
দিন শেষে ভালোবাসা টুকুই বাইচা থাহে।।
চিঠির উপরে লিখতা রবীন্দ্রের কবিতার লাইন।
বই পুস্তকের ভাষায় আমারে জানান দিতা,
ভালোবাসার উপরে কোন সত্য নাই।
পিরিতির চলমান সময়ে আমাগো প্রত্যেক দিন দেহা অইতো,
আমরা এক লগে ঘুরতাম,আমি একলাই খাইতাম,
তোমারে কোন দিন খাওয়াইতে পারি নাই,
তোমার রিকশা ভাড়া ডাও আমি দিতে পারিনাই।
তোমার লেইগা কিছু কিনতে পারিনাই,
তুমি নিতে চাওনাই কোন দিন কোন কিছুই।।
তোমারে দেওনের মধ্যে খালি সময় ডাই  দিতে পারছি,
আমার দেওয়া তোমার কাছে এহন কিচ্ছু নাই।।
অথচ তুমি আমারে জীবন দিলা, সভ্যতা দিলা,
প্রেম দিলা, মানুষ হওয়া শিখাইলা।।
শিখাইলা রাগের মাথায় শান্ত থাকন,
শিখাইলা ভালোবাসার উপরে কোন উপহার নাই!
অথচ তুমারে এতো ভালবাইসাও-তুমি যেইহানে গেছো,
সেইহানে আমি ইচ্ছা করলেই যাইতে পারিনা।
ভালোবাসারে বুকের মইধ্যে বাইন্ধাও
সেইহান থেইকা ফিইরা আইবার পারেনা।
সেইহানে মানুষ একলাই খালি হাতেই যায়,
কিন্তু তুমি আমার ভেতর ডা লইয়া গেলা।।
আমি তোমার বান্ধা পিরিত লইয়া-
রাস্তা ঘাটে ঘুরি, মানুষের লগে মিশি ,
মানুষ রে কোন কারণ ছাড়াই ভালোবাসি।।
ভালোবাসা ছাড়া মানুষের কাছে কিছুই চাইনা-
অথচ মানুষ গুলান আমার ভালোবাসারে ছুইড়া ফালায়,
তারা দামী উপহার চায়,দামী রেস্টুরেন্টে খাইতে চায়।।
খুবলে নেয় তোমার দেওয়া ভালোবাসার শিক্ষা,
আমার মিলেনা হিসাব মিলেনা কোন সমীক্ষা ।।
স্বার্থপরের লাহান মানুষেরা ক্ষমতা আর অর্থের পিছে দৌড়ায়,
স্বপ্ন যেইহানে অর্ধনগ্ন আর ভালোবাসারা সেইহানে মৃতপ্রায়।
আমি মানুষের মইধ্যে খালি মানুষ খুঁজি,
কেউ তোমার লাহান অয় না বুঝি??