দৃষ্টি সীমার খুব কাছেই আছো!
চাইলেই হাত বাড়িয়ে ছুঁতে পারা যায়।
রাত্রিরে এক বিছানায় শুয়ে থাকা স্পর্শহীন।
কোনদিন অনুভব করিনি শূন্যতা।
এই যে এতো কাছাকাছি থাকা প্রতিদিন,
তবুও তোমায় ছোঁয়া হয়না শতাব্দি,
কিংবা তোমার শরীরে ঘ্রাণ পাইনি এক যুগ।
তাতে আমার কোন দুঃখ নেই,
ছিলো ও না কোনদিন।।
অভিমান জমে নি শিশির বিন্দু পরিমাণ,
অভিযোগ ছিলো না বিন্দু ।
একবারের জন্যেও মনে হয়নি,
আমি তোমায় কিংবা তুমি আমায় ছোঁবে।
মনে হয়নি চোখের পড়ে রেখে চোখ,
দৃষ্টি সীমানার প্রখরতা বাড়ুক।
আজ দুজনেই এক ছাদের নিচে,
ভাবি আলাদা ঘরে শূন্যতা কি করে বাঁচে?
তোমায় দেখিনা হাজার বছর,
নরকের স্বাদে ভরপুর ঘর।
সূর্যের আলো নিভে গেলে ভাবি,
চাঁদের তাপ এতো প্রখর?
তোমার চোখের পলক,
এক মুহুর্তের ঝলক,
একটু খানি ছুঁয়ে যাবার পিয়াস,
আমার বুকে জন্মায় খরা,
কিংবা মুহূর্তেই জলোচ্ছ্বাস।
তুমি আছো!
থেকেও না থাকার মতোই,
তুমি নেই ক্লান্তি ভরে
কান্না সুরে ডাকছি তোমায় যতই ।
আমার শূন্যতা এ ঘরের দেয়াল পেড়িয়ে,
ও ঘরে পৌঁছায় না কিছুতেই,
ভালোবাসা আগের মতই করছে বসত
শুধু তুমি আর আমি নেই স্পর্শতেই ।