তুমার লগে পিরিত যহন ,
আসমানের চান্দের লাহান ঝকমকাইয়া উডলো,
আমার চেনা জানা বেকেই জানলো
তুমি আমারে ভালোবাসো,আমি তুমারে চাই।
এই হানে সেই হানে দেহা অইলেই হেরা আমারে কইতো,
মাইয়া মানুষ,
ঘরে খাওন আর পিন্দনের কাপড় না পাইলেই,
বেবাক মায়া মহব্বত পিরিতি ফালাই থুইয়া যাইবো গা।
এই জামানায় ট্যাকা ডাই সব,
পিরিতি জুতার ময়লা!!
আমি হুনতাম, আর মনে মনে হাসতাম।
আবার মাঝে মধ্যে এইসব আকতা কুকতা ভাইবা,
ভিত্রে ভিত্রে মেলা ডরাইতাম।
তুমারে লইয়া মানুষের চিন্তা দেইখা এহনো আমার
হাসিই আহে। আমি এহন জোড়ে জোড়েই হাসি।
ঘরে সাত দিন খাওন আছিলো না,
তুমি হুদা জল খাইয়া আছিলা।
আমার ছিড়া জুতাডারে তুমি আগলায়া রাখছো,
এক খান মাত্র ভালা শার্ট, সেইডারে ধুইয়া গুছাইছো।
তুমার জন্মদিনে একটা গোলাপ দেওয়ার সামর্থ্য
আছিলো না আমার তহন,
রাস্তায় হাঁটতে যাইয়া দুইডা ঘাস আর জংলী ফুল আইনা
তুমারে কইছিলাম শুভ জন্ম দিন।
সেই ফুল এহনো তোমার যতনে আছে।
হুট কইরা আসমান থেইকা তলানীত নাইমা আসছিলাম।
পকেট ভইরা ট্যাকা থাকনের সময়,
যারা কইছিলো তুমি চইলা যাইবা,
তারাই পকেট শূন্য হইবার পর চইলা গেছিলো।
তুমিই আছিলা, আমার অসুস্থ শরীর ডারে টাইনা লইয়া,
তুমিই আছিলা-আমার লগে পিরিতি বাইন্ধা।
তুমি চাইলেই পারতা,
আমারে ছুইড়া ফালাই থুইয়া চইলা যাইতে।
আমার ভিত্রেও ডর ডুকছিলো।।
অহন আমাগো সংসারে খাওনের অভাব নাইক্কা,
তুমারে মাথাত কইরা রাখার লাহান শক্তিও আছে।
তয় তুমারে নিয়া এহন আর আমার দুশ্চিন্তা নাই,
তুমারে হারানির ডর নাই।
যারা আমার খারাপ সময়ে পলাইছিলো,
ওরাই আমার এহন কারণে অকারণে খোঁজ খবর লয়,
আমি বুঝি, ভালা কইরাই বুঝি,
ওদের ডাকে সাড়া দেওনের চাইতে ওদের নামে কুত্তা পালন ভালো।
আমার বেবাক পাওনের হিসাব,আমার সফলতায়,
আমার আনন্দের ভাগের একমাত্র দাবিদার কইলাম তুমিই।
আমার দিন দুনিয়া এক হাতে ছুইড়া ফালাই দিয়া,
আমি তুমারেই আগলাইয়া রাখুম আজন্মভর।
তুমারে ভালোবাসি, এইডা নতুন কইরা কওনের দরকার
আছে বইলা আর মনে অয় না,
কিন্তু তুমি আমার বেহেশত,
দোযখ এইডাই জানানির আছিলো!!!