১.  দেরাজ


[আয়েনা বালাম কা করুন সজনি
তড়পাতে বিতি মোরি উ-না বি-নে রাতিয়া]


স্মৃতির খাতা দীর্ঘ হচ্ছে
প্রতিদিনই বাড়ছে পাতা
কোন সময়ে কী করেছি
কে ধরেছে মাথায় ছাতা


গত বছর বর্ষাকালে
ভেসেছিল বানের জলে
এ বছরে তার যে কী হাল
কে যাবে তা আমায় বলে!


এক বিকেলে যে উঠানে
পড়ত পায়ের আয়েশি ছাপ
এখন দেখি সে উঠোনে
ঘাসে ভীড়ে ডিম পাড়ে সাপ।


কখন জানি সূর্য্য ওঠে
কখন বা তা অস্ত চলে
ব্যস্ততাতে যায়নি দেখা
আজকে বন্ধ চার দেয়ালে


স্মৃতির পাতায় হাত বুলিয়ে
সেই সময়ের ওম নিতে চাই
এখন সময় অবিন্যস্ত
ভ্যাপসা আতপ ছড়িয়ে যায়।


জানি সময় ঠিক থাকে না
পিছলে পড়ে আঁজলা থেকে
তবুও মন হাতড়ে চলে
স্মৃতিকণার দেরাজ খুলে।


২.  মাগন ঠাকুরের দেশে


শুকর ছানার ঘা ধুয়ে দেই
কুকুর ছানার মুখে খানা
বিড়াল ছানায় খুব আদুরে
দুধের পাতেও মুখ রোচেনা।


পাখির ছানায় চক্ষু মেলেই
চিনে ফেলে নিজের মাকে
কষ্টে বানায় কাউয়া বাসা
কোকিল ছানায় বাড়তে থাকে।


গো শাবকের বুদ্ধি ভীষণ
জন্ম নিয়েই হাঁটতে শেখে
মায়ের দুধের উৎস চেনে
প্রথম থেকেই চুষতে থাকে।


সিংহ-বাঘের আজব ছানা
মায়ে পালে বাপ চেনে না
মাছের মায়ের পোনার শোকে
নদীর চোখেও জল থামে না।


মানব ছানা জন্ম কানা
বুকে বসে টানে দাড়ি
হাড়ে দুর্বা গজিয়ে যাবে
কূল রাখি না শ্যামের বড়ি!


আরশাদ ইমাম/ছন্নছাড়া সময়
০৯ আগস্ট ২০১৭/বুধবার/ঢাকা।