অবতরণিকা


পাখি উড়ছিল আকাশে, ঠোঁটে পিপাসা, অনন্ত অম্বর
মহাজাগতিক পরিভ্রমণের দীর্ঘ পরিক্রমায় ক্লান্ত ও অবসন্ন
এক টুকরো খাদ্য, কয়েকটি শস্য দানা অথবা গলা ভেজানো
পাখি খোঁজে নীড়, আকাশ ছেড়ে পাথরে, মাটিতে, জলে
বালিয়াড়ী, গহীন অরণ্যে, হিমবাহের হিমাঙ্কের নিচে, ভূ-গর্ভে।


সে কোন পাখি, এমনতর হয়? কেন হয় এমন? কেন হয়?
পাখি কোথা থেকে উড়ে কোথায় যায়? কেন যায়? কেন?
কবে যেন উড়েছিল এ পাখি! কে যেন দেখেছে তাকে!
কে দেখেছে সে পাখিকে, কেউ কি দেখেছে? আসলেই কি
দেখা যায় এমন এক অচিন পাখিকে? সত্য পাখি!


পাখি দেখতে যাবে কে? দেখাব সে পাখি, দেখাব তার
পথরেখা, দেখাব তার ছেলে-পুলে নাতি, আঁকিবুকি,
পাখি এসেছিল, চলেও গেছে, রেখে গেছে তার স্মৃুতি
মনের গহীনে, বুকের ভিতরে, আরো গভীরে, সেখানে
যেখানে লেখা আছে, মহাকালের সব লিখন, সব কথা।


পাখি বাসা বেঁধেছিল, পাখি সংখ্যায় রেড়েছিল, মিলেছিল
তোমার সাথে, আমার সাথে, আমাদের সকলের সাথে
মিলেছিল আমাদের পূর্বপুরুষ-পূর্বনারী, লেখা আছে সব
আমাদের প্রতিটি হাতের রেখায়, শরীরের ত্বকে, আছে
আরো গভীরতর স্তরে, সে আমাদের জিনোম-জনম।


(চলবে-------------------------------------)


পৃত্থ্বীকথা।।আরশাদ ইমাম।।২৯ নভেম্বর, ঢাকা