ঘোর অন্ধকার অমানিশা
রাতের বারান্দা পেরিয়ে আলোর উঠোন,
বুড়ো সময় আসন পেতে বসেছে, সেখানে।


চোখ মেলে দেখি ফুল চন্দন
আযান-ধূপ-ধুনা-পুড়ছে-কুন্ডুলী উঠছে আকাশে,
অথচ অজানা কারণে কান্নায় ভাসি তখন।


আমাকে হাতে করে তুলে নেয়
সময়ের হাতগুলো-পরিচ্ছন্ন, জরাগ্রস্ত নয়,
তবু অকস্মাৎ শীতে সবকিছু শীতল।


কে যেন তখন পরিপূর্ণ ওম দেন......... মা
বেড়ে উঠি তাপে-উত্তাপে-মমতায়-সস্নেহে, তারপর
একজন এসে কাঁধে তুলে নেন.........পিতা
সেই থেকে বুঝি শক্ত হাতের স্পর্শ,
শক্ত হাত-ই যেন বলে দেয়, নতুন দিনের বার্তা
এ আমার আসা নয়, ভিন্নপথে যাত্রা।


কুয়াশার কপাট ঠেলে সূর্য যখন
সময়ের হাত ধরে টান দেয়, অবেলার গাঁয়ে
দীর্ঘ ছায়া ধীরে ধীরে সংক্ষিপ্ত হয়ে-
দিক বদল করে আবার দীর্ঘ হয়।
সময়ের চাকা ক্ষয়ে যায়, পথে পড়ে থাকে অচিন চিহ্ন,
তবু দিনমান উঠে বসা, ডুব-সাঁতার আর
কলকাকলিময় কত কথামালা।


মেঘ আসে, বৃষ্টি নামে, কুয়াশায় ঢাকে চরাচর,
হঠাৎ ঝড়ে চুল ওড়ে, নড়ে ওঠে হৃদপিন্ড
অস্থির খাঁচার ভেতরে, অবলীলায়।


আবার প্রখর রোদে মাঠ পোড়ে, চোখ পোড়ে,
পুড়ে যায় সময়ের দুর্বাদল।
পৃথিবী তাকিয়ে থাকে সামনে-আহ্বানের দিকে
দীর্ঘতর ছায়া লাফ দেয় অন্ধকারের অতল গহীনে।


তবু মন বলে এ কেমন যাত্রা ছিল, অতি সংক্ষিপ্ত সফর,
কোন কিছু খুলে দেখা যায় না, যায় না চেখে দেখা,
তবু চলতে হয় পথ, যাবার সময় কাউকে চোখে পড়ে না।


যে দাঁড়ায় সামনে এসে তাকে আমি চিনি না,
অথচ যাকে খুঁজি তাকে কোথাও দেখিনা।
এমন সফর এ এক, আচানক, অলক্ষণা।।


----এস, এম, আরশাদ ইমাম