সাথে নিয়ে চলি, নিজের মাঝে, আজন্ম এক ভূত
ছায়া হয়ে থাকে, মায়া হয়ে থাকে, আজগুবি, কিম্ভূত !
বিস্তার হয় রোগের মতো, রন্ধ্রে রন্ধ্রে শিরায়,
বসন্তে এসে বাড়-বাড়ন্ত, ভাইরাস থেকে কীড়ায়।
কুরে কুরে খায় অস্থি মজ্জা, চিন্তা, চেতনা, বোধ
চৈতি বাতাস হলকার মতো, জ্বালাময় তার ক্রোধ।
আউলা বাতাস বাউলা হয়ে মাথার ভিতরে বসে,
হৃদপিন্ড তোলপাড় করে, ডুবে যায় রাগ-রসে।
উন্মন হয় মনের বাঁধন, চঞ্চল হয়ে চোখে
ফাগুন হাওয়ায় ভালবাসা হয়ে যুক্তি বুদ্ধি রোখে।
কত কী যে খোঁজে মনের ভিতর, কত কিছু খোঁজে চোখ,
আরো কতকিছু ভীড় করে থাকে, মনে চেপে যায় রোখ।
বাধা মানেনা, কথা শোনেনা, বিভ্রমে একাকার,
যতটা বলি, যতটা বুঝাই, সময় কই শোনার!
বসে ভাবি তাই, আজন্ম সাথী এই মনটাকে নিয়ে
কত যে বিড়ম্বনা এসে জোটে, ভুল পথে চলে গিয়ে।
যুক্তি-বুদ্ধি যাকে “না” বলে, বেবুঝ মনটা তাকে,
আস্টে-পৃষ্ঠে বেঁধে ফেলে আর আস্তিন ধরে রাখে।
সময়ের ঘাতে সব ঝরে যাবে, পতিত থাকবে দেহ,
নিজের এ শত্রু বন্ধু হয়ে কতটা বিলাবে স্নেহ!
আফশোস আর গ্লানি গায়ে মেখে এক বসন্ত শেষে,
জীবনের সব দেনা-পাওনার হিসেব মেলাতে বসে
দেখি সে হিসাব মেলে না মোটেও, কিছু থেকে যায় বাকী
বসন্ত আসে আর ঝরে যায়, হিসাব কষতে থাকি।
মিলে কি হিসাব ? মেলেনা জানি। আমার একান্ত আমি
আমার শত্রু আমার ভিতরে, আমার অন্তর্যামী।


-- এস, এম, আরশাদ ইমাম, ঢাকার জীবন