আয় বোশেখী, কাল বোশেখী, আয় বাতাসের ঢেউ
মধ্যরাতে বুকের ভিতর জেগে উঠছে কেউ
বেরিয়ে আসতে চাইছে, কিন্তু হচ্ছেনা সক্ষম
দু’পায়ে তার বান্ধা আছে দুই কালের খড়ম।


মেঘ ঢেকে দেয় আলোর নহর, নক্ষত্র রাশি
আমার চোখের স্বপ্নগুলো এখন অভিবাসী
সময়গুলো বর্গা দেয়া অনেক চড়া দামে
যদিও আমার বিচরণ এই তুচ্ছ ধরাধামে।


আমার আকাশ কালো করে মেঘ জমেনা আর
এখন আমি দুরন্ত দিন, অন্ধ সারাৎসার
বাতাস আসে আমার পাশে শিশুর পায়ে নামে
একটুখানি এগিয়ে গিয়েই, হোঁচট খেয়ে থামে।


মেঘ এখানে কাল-বালিকা, এসেই ছুটে চলে
আদিগন্ত পেরিয়ে যায়, পলকা হাওয়ার বলে,
শুধুই বাতাস, বৃষ্টি কোথায়, শুষ্ক হাওয়ার খেলা
উড়িয়ে নেয়, ঝরানো পাতা, যত ময়লা ধুলা


এখান থেকে ওখানে যায়, জায়গা বদল হয়
যে তিমির সে তিমিরই রয়, শুধুই শক্তি ক্ষয়
হতো যদি হাওয়ার মেশিন, নতুন শক্তি ধারা
তার ফসলে ফলতো সোনা, থাকতো গোলা ভরা।


এখানে নাই প্রাণশক্তি কেবল নষ্ট বোনা
এখানে তাই নতুন হাওয়ার চাইছি আনাগোণা
তীব্র হাওয়া তুমুল বেগে উড়িয়ে নেবে সব
বৈশাখে এই কাল বোশেখী আনুক সে বিপ্লব!


নতুন সমাজ নতুন জীবন, নতুন চিন্তা ধারা
এখন এসব কেউ বলে না, আলো বা অপ্সরা
এসো আমার উঠোন জুড়ে, ছড়াও রূপ-মাধুরী
অপ্রেমকে সরিয়ে নাও, সুন্দরের পূজারী।


বিপ্লব নাই, বিপ্লব চাই, পাল্টে দেবার মত,
সারিয়ে দিতে প্রেম ও পূজায় জীবনের সব ক্ষত।
ধ্বংস হবে ধ্বংস আর সৃষ্টি শুরু হবে
কালবোশেখী বলো আমায় এমন হবে কবে?


--এস, এম আরশাদ ইমাম// ২৫.০৪.২০১৫//শনিবার//প্রথম প্রহর//ঢাকার জীবন ২৮