১.


চোখের খাপ খুলে দেখি সোনার ছুরি
প্রিয় বুকে আমূল বেঁধা
দু’হাতে টেনে বার করতে যাই ক্ষত থেকে
তুমি তখন হাত চেপে ধরো-
বলো- নিজেকে নষ্ট করার ক্ষরণ এটি
        এতো সহজে মুক্তি দিয়ো না।
                কার ক্ষরণ, বুঝিনা তখন
                কারণ, দেখি আমার মুষ্ঠিতে
                বুকে বেঁধা ছুরি, ছুরির ডগায় রক্তধারা
                কার যে ক্ষরণ, কার বিদীর্ণ বুক,
                কার যে দহন, কিসের গন্ধ বাতাস ভরা
                কিছুই বুঝা যায় না-
         গলে যায় সময়ের সীমারেখা।
খুনীর মতো দাঁড়িয়ে থাকি প্রিয়র সম্মুখে
সফেদ আলোর বন্যা ক্রমশঃ লাল হতে থাকে
রঞ্জিত সময়ের অন্যায্য ক্ষরণে
                আমি যেন ক্ষ্যাপা।


২.


বিস্মৃতির অতল থেকে
      তুলে আনি
ভালো লাগা স্মৃতির লাশ
      আর আমি
চারপাশে জেগে ওঠা
      প্রাণ প্রাচুর্য্যে ভরা
চলমান সময়কে কুহক নিদ্রায় পাঠিয়ে
      অস্তিত্বের উঠানে
করি আফশোসের নিত্য চাষাবাস।


৩.


                ডুব দিয়েছি গহীন জলে
                অতল জলের কাব্য
                হন্যে হয়ে খোঁজে যুবক
                শ্রাব্য কি অশ্রাব্য!


রক্ত-মাংস ছিঁড়ে খুঁড়ে,      কবির শরীর খাবলে ,
শক্ত পোক্ত হাতের ফাঁকে   যেমন ধরে সিগারেটকে,
কাব্যটাকে মুঠোয় পোরে    শব্দগুলোয় হ্যাঁচকা টানে,
ছিন্ন ভিন্ন করে তাকে        প্রাণ ছাড়া এই মরণ গানে।


                আবার তাকে স্মরণ করে
                ভালবাসার সময়গুলো
                স্মৃতির পুকুর, শ্যাওলা সবুজ
                তার সঙ্গেই সখ্য গড়ে।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//০৪ জুলাই ২০১৫; শনিবার; ২০ আষাঢ় ১৪২২//ঢাকার জীবন