৪.
তারপর ঘুমিয়ে পড়ে তরঙ্গায়িত নদী
হাওয়ার শন শন স্তিমিত হয়
বিবর্ণ হয় শস্যল সবুজ প্রান্তর
সন্ধ্যার অন্ধকার বিদীর্ণ করে জ্বলে ওঠে
বিন্দু বিন্দু শরতের আলো, ঘরের বাইরে
উঠোনে-প্রান্তরে, রাতের বৈকুণ্ঠে
দুধসর জোছনার প্রবল আলো বিতাড়িত হয়।


তারপর, আরো প্রহ্বলাদ দিন যায়, মৌসুম বদলে যায়
কেঁপে ওঠে ভূ-ত্বক আর মাটি, অকস্মাৎ,
ভেঙ্গেচুরে খানখান, যা ছিল সাজানো পরিপাটি;
আরো কিছু ঢেউ, আসে, ছুঁয়ে দেয় মৃত্তিকার পা-কে
ঢেউয়ের বুকের কথা গেঁথে যায় মাটির স্তরে স্তরে
-নদী ও ঢেউ, হাওয়া ও প্রবাহের ফাঁকে ফাঁকে।


ঘুম আসে, ক্লান্তি আসে, ঘুমিয়ে পড়ে স্বপ্ন আমার
চোর আসে সিঁধ কাটে, চুরি করে সে স্বপ্ন সম্ভার
আমার শৈশব যায়, কৈশোরও থাকে না ঘরে
আমার প্রান্তর যায়, শস্যক্ষেতও নেয় চুরি করে,
ঘর যায় উঠোন সকল, যা কিছু বালিশের তলে
নিয়ে যায় নির্দয় সে চোর, আমার এ ঘুমের ঘোরে
দীর্ঘ রাত, বিলম্বিত ভোর, রাতভর নিকষ আঁধারে
সব নিয়েও থামেনা চোর, টান দেয় অস্তিত্ত্ব ধরে
আমি তবু বাস করি, ঘোর লাগা অস্পষ্ট ভোরে।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//১৭ জুলাই ২০১৫; শুক্রবার; ০২ শ্রাবণ ১৪২২//ঢাকার জীবন