১১.
আবার বদলায় ঋতু, বদলে যায় বায়ান্ন তাসের খেলা
পৌষ পেরিয়ে ছুটে আসে ক্ষণস্থায়ী বসন্তের বেলা।
বাতাসে মৌতাত ভাসে, নদীতে নেমে যায় পানি,
জলসিঁড়ি বেড়ে চলে, বাতাসে কীসের যেন কানাকানি!
একা নই, আরো আছে নারী, সমভিব্যাহারী
আসে আর যায়, দ্রুত হাওয়ায় ভেসে যাওয়া মেঘমালা
আমি থাকি অন্তঃপুরে, বেড়ে যায় অচেনা কী এক জ্বালা!
অস্তিত্বময়, প্রলয়, দুমড়ে মুচড়ে, কী যেন আসতে চায় উঠে
পাদপীঠে, তার অর্থ আমি কী তা বুঝি, যদিও স্পর্শগুণে
আজ আমি সময়ের সঙ্গে যুঝি, আলো জল-মীন কন্যা।


নিজেকে গড়তে থাকি শিল্পীর মনোমত সাজে, চারুপাঠে,
যেন চারুলতা, বৃক্ষ বেয়ে উঠে যাই শিরে, ধীরে,
শিখে নিই নৈঃশব্দের কথকতা;
যদি ফের প্রাণ ফিরে পাই, দোয়েল-ফিঙ্গে-শ্যামা
ডাহুক-তক্ষক-পেঁচা, প্লাটফরমে বাদাম বেচা, কিংবা
একপাশে বসে থাকা কোন বনমালী, অথবা যদি
মেলে ধরে ডালি, ফুল-আশে, ঘোরে গৃহপাশে
বুকে তবু গোপন শস্যবীজ ঢালি, নদীগর্ভে জমে ওঠে বালি।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//২২ জুলাই ২০১৫; বুধবার; ০৭ শ্রাবণ//ঢাকার জীবন