১.    লঘুপাপ


অাগুনের সাথে দেখা হলো বৃষ্টির ভিতরে
তারপর কি দুরন্ত ভেজা,
বইপত্র, কাপড়, শরীর- ভিজে একশা।


রেইনকোট খুলে
জড়িয়ে দিই তার গায়ে, স্পর্শহীন আলতো করে,
নিভে যেন না যায়,
অটুট থাক উত্তাপ।
পুড়ে যাবে!- যায় যাক, উত্তাপ তবু থাক।


কিছু কিছু তাপ আছে,
যতটা না পোড়ে, নিঃশেষ করে তারও বেশি
তার চেয়ে বেশি গড়ে যায় নীরবে
       ভালবাসার তাপাধার, আর তাপ।
তাকে ভালবেসেছি খুব-এটাই আমার এ জীবনের
সবচেয়ে লঘু পাপ।


২.   অন্যপূর্বা


পৃথিবীতে ভোর এলো আলো মেখে, অবাক আলো
তারপর..
ঘুম ভাঙ্গে তার, চোখ মেলে দেখে বাইরে আলোর বাহার।


মাপা হাতে ঝটপট তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়ে সে, পথে,
আর সন্ধ্যায় ফিরে আসে ঘরে এক টুকরো নীল নিয়ে, খামবন্দী নীল।


খাম খুলে টেবিলে রাখতেই
ঠিকরে ছড়িয়ে পড়ে সে নীল, ঘরের আনাচে কানাচে, বারান্দায়
প্রগাঢ় নিখাদ নীল।


প্রিয়তমা স্ত্রী এসে দেখে
নীলের সমুদ্রে ডুবে আছে সে, বিছানার একপাশে কাত হয়ে
পাশ ফিরতেই দেখতে পায়
প্রিয়তমের চোখেও নীল দ্যুতি, বিচ্ছুরণ উপচে পড়ে গায়ে।


তার হাতে ছোট্ট একটা ফটোগ্রাফ
নীলের প্রবাহ সেখান থেকে ছুটছে, তীর্যক আলো,
স্ত্রী নিজ হাতে তুলে নেয় সেই নীল;
তারপর সূর্য ডুবে যায়, নিকষ নীল অন্ধকার,
এত অন্ধকার, কেউ কখনো কোনদিন দেখেনি।


গোপন নীলের সুড়ঙ্গমুখ যেন খুলে গেছে,নীল ফটোগ্রাফ থেকে।
অন্যপূর্বা সেই থেকে নীলম্বরী হয়ে আছে প্রিয় পুরুষের বুকে।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//২৭ জুলাই ২০১৫; সোমবার; ১২ শ্রাবণ ১৪২২//ঢাকার জীবন