আমি তোমার শান-শৌকত ধুলায় লুটাবো-তোমার গৌরবকে চূর্ণ করে
নানা প্রশ্ন করে বিব্রত করবো, আর তুমি চুপ করে বসে থাকবে-
তা কী করে হয়, আমি সূরা আল-আহযাব বারবার পড়ি, নতশির হই,
আমি রাব্বুল-আল-আমীনের প্রবল ঔজ্জ্বল্যে আলোকিত হয়ে উঠি, দেখি
সূরার আয়াতে আয়াতে কী ভাবে ছড়িয়ে আছে আমার আশ্রয়,
আমার প্রতি নির্দেশ-যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে, মুমিন নারী-পুরুষকে
কষ্ট দেয়, তারা ইহকালে ও পরকালে অভিশপ্ত-আল্লাহ্‌-র কাছে,
তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে;
আর তাদের জন্য রাখা আছে অবমাননাকর শাস্তি, আল্লাহ্‌-তা-আলা
মহান সর্বজ্ঞ, তিনি তাদের বিষয়ে আমাকে উত্তেজিত হবার বিধান দেন,
আয়াত-৬০ এ আল্লাহ্‌ মদীনা শহর থেকে এইসব পাপীদের অভিশপ্তদের
প্রস্থানের পথ বাতলান। তিনি জানান যে, এখানে প্রতিবেশী অল্পই থাকবে।
তিনি বলছেন, এ বিধান তাদের উপর প্রযোজ্য, যারা মুনাফিক এবং
যাদের অন্তরে রোগ আছে। আমি দেখেছি তাই আয়াত ৬১ এর বিধান,
‘‘অভিশপ্ত অবস্থায় তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে, ধরা হবে
এবং প্রাণে বধ করা হবে।’’….কী সুস্পষ্ট বিধান! আছে কোন কিতাবে?
এমন-আল্লাহ্-র নীতি এবং তা অপরিবর্তনীয়। আল্লাহ্‌ সুমহান।


আমাকে রক্তাক্ত করো, হাটে-ঘাটে-নগরে, বাসের ভীড়ে বা ঘরে-অন্দরে
আমার রক্ত থেকে জন্ম নেবে দুষ্টবীজ, আমার জীবন থেকে জন্ম নেবে
নতুন জীবন, যে জীবন তোমার কথা বলবে না, এ কেমন কথা!
আমাকে নিঃশেষ করো তাই, আমি রবখেলাফ করেছি তোমার নিদান।


তুমিতো স্পষ্ট করে বলেছ, ‘‘তোমার তাগুতি আইন থাক তোমার কাছে,
আমি ঘোষণা দিয়েছি আমার রাষ্ট্র-ইসলামিক ষ্টেট-আল্লাহ্-র আইন
এখানে আল্লাহ্ আমার প্রভূ
     রাসূল আমার নেতা
     কোরআন আমার সংবিধান
     হাদীথ আমার পাথেয়
     শায়খ-উল-হাদীস আমার শিরস্ত্রাণ
আমি মরু শার্দূল থেকে এখন খুঁজে ফিরি সুশীতল ছায়াতল, সুমিষ্ট পানি
আমি খুঁজে ফিরি প্রাণহীন বালিয়াড়ী থেকে শ্যামল সবুজ বাথান,
কতকাল ঘুমাবো আমি খর্জ্জুর বৃক্ষ শাখার নিচে অথবা উষর পর্বতের
গর্তে ইঁদুরের মতো, আমারও তো সাধ হয় শুনি পাখির গুঞ্জন,
আমারও ভাল লাগে কোকিলের কুহু তান, স্রোতস্বিনী নদীর কলতান,
হাওয়ার সুকোমল শন শন অথবা ফসলের মাঠে পাকা ফসলের ঘ্রাণ।
এসব আমার সৌভাগ্যে আসে নি, আমি তাই প্রমাদ গুনি, অহর্নিশ,
যদি এদেশ আমার হতো-একহাতে কুরআন, আর হাতে বর্ষার গীত!’’


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
১০ আগস্ট ২০১৫; সোমবার; ২৬ শ্রাবণ ১৪২২; ঢাকা।