ল্যাজ টানে সে মুখের ভেতর দিয়ে ঘেয়ো জিভ
বলে ‘‘আমি ধর্ষক নই, স্বয়ং সেবক শিব,
শিবলিংগ ছাইড়া হিন্দু আমার লিংগ ধর
সাচ্চা মুসলমানের বাচ্চায় ভরবে তোদের ঘর,
ধর্ষণ যখন অমোঘই হয়, আরাম খোঁজাই শ্রেয়
আরাম খুঁজে চক্ষু বুজে, লুটিয়ে দাও না দেহ।’’
বিধর্মী ধন কর রে নিধন, মদের দোকানদারী
মৃগনাভীর গন্ধে গোকুল ভোলে বসত বাড়ী।


যে খোঁয়াড়ে রাখে তাকে তার ভিতরেও যে সে
সেবক ছেলের উপরেও সে চড়াও হয় কাম-ক্লেশে।
ল্জ্জা পায় না, ভাবে হায়না, ভাবে একাত্তর
সেই দিন নাই, বোঝে না সে, হম্বি-তম্বি সার।
বিকৃত সেই অঙ্গভঙ্গী ছানা-পোনার কাছে
ছড়িয়ে দেয় সে এই সময়েই যদি সে না বাঁচে।
কাদা ছোঁড়া, চেঁচামেচি, পঙ্গপালের দল
নগর পিতার এজলাসে ঢালেন হলাহল।


শংকা জাগে বুকের ভিতর, লাল পতাকা দেখে
চমকে উঠে তাকায় তখন, প্রমাদ গুণতে শেখে।
ভাগ করে সে ব্যাঙ্কের টাকা, পাহাড়, জাহাজ-ঘাটা
কে পাবে তার ব্যবসাপাতি, কে হবে কেউকেটা।
সময় যখন ঘনিয়ে আসে, সেই নারীটাও চুপ
জবাব খুঁজে পায় না কুকুর, এই প্রথম উজবুক!
তবু কুকুর চেঁচায় খাঁচায়, আমি ফেলনা নই,
পাক-মার্কিন লিংক নিশ্চুপ, কুকুর হারায় সই।


ঘেয়ো কুকুর গলছে শরীর দুর্গন্ধ ভারী
পাঠাও চালান কু-ভাগাড়ে যত্ত তাড়াতাড়ি,
এসব জিনিস বাঁচাতে নেই বেশি সময় ধরে
রোগ ছড়াবে ঘরের ভিতর, কিংবা সমাজ জুড়ে।
যেদিন মরবে এই কুকুরটা খবর দিও ভাই
বুক ভরে শ্বাস নেবো সেদিন, যদি শান্তি পাই!
একটি কুকুর এই নগরকে নোংরা করেছিল
নগর এবার শুদ্ধ হবে সময় চলেই এলো।।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
১৪ আগষ্ট ২০১৫; শুক্রবার; ৩০ শ্রাবণ ১৪২২; ঢাকা।