সেদিনও এমন মেঘ কেঁদে ছিল
শ্রাবণের মেঘ ঝরে পড়ছিল
আঙিনা জুড়ে ভর ভর জল
তোমার শোকেতে ভেঙ্গে পড়েছিল।


যত্ন করে নিজ হাতে গড়া
তোমার গৃহ লোকে ভরে ছিল
লোক আগমন এই সমাগমে
তোমার বিদায় আয়োজন ছিল


যদিও মাটির ঘর গড়েছিলে
এক মুঠো মাটি প্রয়োজন ছিল
অবাধ মেঘের থৈ থৈ জলে
তোমার সে ঘর ভেসে যাচ্ছিল।


পৃথিবীর মাটি তোমাকে চায়নি
জল হাওয়া ছিল সঙ্গী তোমার
মাটি চেয়েছিল থাকো ক’টা দিন
বৃষ্টি দিয়েছিল সময় নামার।


কলাগাছে তুমি শয্যা পেতেছো
শায়িত হয়েছো তার উপর
বৃষ্টির ধারা থামেনি তবুও
কী স্নিগ্ধ তুমি সারা দুপুর।


মাটির গৃহেতে কাদাজল মেখে
এসেছি চলে একলা রেখে
কত ভাষা ছিল মনের ভাষায়
কত কথা ছিল মুদ্রিত চোখে।


সব কথা শুনে চুপ চাপ তুমি
জলের ভেলায় শুয়ে পড়েছ
কেউ থাকেনি তোমার দু’পাশে
যদিও তাদের আপন ভেবেছ।


জীবৎকালে তো কত যে আপন
মৃত্যুর পরে কেউ থাকে না
চারপাশ জুড়ে ঘিরে থাকে যারা
তোমার কোন খোঁজ রাখে না।


আজও ঝরছে শ্রাবণের ধারা
যদিও তুমি আজ কাছে নাই
বুকের ভিতরে স্মৃতির গভীরে
এখনো তোমার স্পর্শ পাই।


পিতা তুমি এই অস্তিত্ত্ব জুড়ে
আছো কায়াহীন ছায়া হয়ে
স্বপ্নে মননে বুনে চলে যাও
আজো কত কথা যাও কয়ে।


আধেক বুঝি তার আধেক বুঝিনা
যতটুকু বুঝি তাও কি মানি
পিতা আমৃত্যু সাথী হয়ে থাকো
মুছে দাও আছে যত ক্লেদ গ্লানি।


পূত পবিত্র দেহ মন নিয়ে
চলতে শেখার প্রেরণা দাও
প্রার্থনা করি যত তাড়াতাড়ি
এই পুত্রকে কাছে টেনে নাও ।।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
১৯ আগষ্ট ২০১৫; বুধবার; ০৪ ভাদ্র ১৪২২; ঢাকা।