তখন ডুবে গেছে শুক্লা পঞ্চমী,
চলেছি ট্রাম লাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে এসপ্লানেডে,
হেঁটে চলেছি ধর্মতলা থেকে বেহালা
নয়তো তালতলা বা গঙ্গার ধারে;
ল্যাম্পপোস্টের নিভু নিভু আলো ঝুলছে,
পান্ডুর নিমা গায়ে, আমি চটি পায়ে,
জুতো ক্ষয়ে সেই কবে গেছে কেওড়া তলে,
হুমায়ূন কবির বা সাগরময় ঘোষের কাছে ছুটে ছুটে।


কত লিখেছি মৃত্যুকে হিরন্ময় করে,
কাগজের পরতে পরতে দু’আনার পেন্সিলে কোণাকুনি
ঘষে ঘষে কত তুলেছি শব্দের মহামন্দির
মৃত্যু তবু একটুও ম্লান করেনি প্রস্থানের মহিমাকে;
মৃত্যুর রূপ অধরাই থেকেছে, বালিগঞ্জে।


নিজেকে ঝুলিয়েছি নিজ হাতে সময়ের দেয়ালে
কত ধুলোই তো ঝেড়েছি, সময়ের আল্পনা
তবু মৃত্যু আমার কাছে অপার প্রার্থনা
ফিরিয়ে দাও সময় আমার, জীবনের আরাধনা।
মৃত্যুকে সাজিয়েছি প্রাণের সবটুকু রঙে রসে শাঁসে
তবু ধূসর বুকের কবুতর এক সময়ের জানালায় এসে বসে।
যতই ভিক্ষে করি, জীবন-মৃত্যু তার প্রভূত্ব ছড়িয়ে রাখে,
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল পেরিয়ে গড়ের মাঠ
অথবা রাত জাগা ট্রামে ট্রামে, না হয় একবারে
শেষ চিঠি হয়ে আসে, কোন অক্টোবরের হালকা কুয়াশায়
অচেনা পোষ্ট অফিস থেকে অচেনা কোন খামে।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
২৬ আগষ্ট ২০১৫; বুধবার; ১১ ভাদ্র, ১৪২২; ঢাকা।


{কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণে, মৃত্যু যাকে পরাজিত করেছে, সময় করেছে মহান; আমি সেই অবিনাশী সময়কে চাই-ভালবাসি, জানাই সম্মান।}