মাথার উপর ভেঙ্গে পড়ছে ক্রেন
মসজিদুল হারামেই তা ক্যান?
সেখানেও কি পাওনা দেনার খেলা
জানিনা ভাই ঠেলি পেটের ঠেলা।
এসব বুঝার মত আমার জ্ঞান
ছিল না তা, এখনও নেই ব্রেন।
বুঝার জন্য রইছে কত মাথা
বুঝতে বুঝতে উঠছে ভরে পাতা,
আমার কী আর তাদের মত হয়!
সারাক্ষণই জড়িয়ে থাকে ভয়।
ছাপোষা এই পেটের দায়ে ঘুরি
না হয় একটু বিদ্যা চুরিই করি
তাতেই আবার গোস্যা তোমার হয়
রাগের চোটে আরও বাড়াও ভয়।
আজকে আমি পীপীলিকার দলে
প্রাণের ভয়ে ছুটছি পালে পালে,
বৃষ্টি বুঝে নতুন গাঁয়ের ঘর
বাঁধতে থাকি বংশ পরম্পর।
এদিক দিয়ে চক্ষু কিন্তু খোলা
যদিও আমার স্বভাব আলাভোলা,
আমি নাকি অলস বঙ্গ-ছানা
কাজ করিনা থাকলে ঝোলায় খানা।
আসল কথা সেইটা কিন্তু না না
জীবন আমার সহজ জটিল ত না,
ভোর সকালে দু’টি পায়ের ফাঁকে
চার আঙুলের এক ব্যবধান থাকে,
বাড়লে বেলা সেটা আর থাকে না
চোখের উপর পর্দাটা রাখে না।
যেমন খুশি তেমন হিসাব চলে
যে যাই করুক স্রষ্টার নাম বলে;
এসব নিয়েই দিব্যি চলে যায়
যদিও ছাত্র রাজপথে খাবি খায়,
যদিও কিষাণ পায়না ধানের দাম
চালের মুল্য বাড়ছে অবিরাম।
বাজেট কিন্তু লাফিয়ে লক্ষ ছোঁয়
তার বদলে মন্ত্রী মুলো রোয়
বছর দু’যেক ঝুলছে নাকের আগে
জানি না কি আছে বা কার দাগে!
আজও অনেক অপুষ্টিতে মরে
যদিও জিমের মেম্বার যায় বেড়ে।
এসব দেখেও দিব্যি নিদ্রা যাই,
আসলে আমার চোখের চামড়া নাই
অনেক বেশি পুরোনো, তাই রোগে
সিদ্ধান্ত জটিল রোগে ভোগে
তবু মানুষ দেখছি ভালই আছে
ভালো থেকো-আগামীটার কাছে।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫; রবিবার; ২৯ ভাদ্র, ১৪২২//ঢাকা