ইটস ওভার! এবার পাঠে চল, ঘরের ছেলে ঘরে।
তিরানব্বই দিনকে তোমরা দিন সাতেকের ঘায়ে
ফেলে দিয়েছ একদম কাদায়; লেজে গোবরে করে ছেড়েছো।
সরকারের লেজে গোবর, বিরোধীদের লেজে গোবর;
মানুষ বুড়ো হলে ভীম ভর করে, দু’পালেই ভীমের হাওয়া
আরো দুই ভীম, এখনো নবীন, একজনে স্বপ্ন দ্যাখেন মসনদে নাও
কখনো বিদিশা (দিশাহীন), কখনো রওশন (উজ্জ্বল) করেন
সংসদের হাওড়-বাও (বাতাস); আর এক ভীম
তেঁতুলের স্বপ্নে এখনো ফিরে যান একাত্তরে
যদি ফের টকটকে তাজা, টসটসে রক্ত ঝরে, বাংলার পাঁজরে!


ভুলে যাও যা কিছু ভুল, স্থূল, সংকীর্ণ, আকীর্ণ কালিমায়
সংশোধন করো কোনখানে খামতি ছিল, চেতনায়, বিশ্বাসে অথবা
উদ্দীপনায়, যে বিশ্বাস, যে চেতনা, যে উদ্দামতা, মানুষের জীবন নয়
মৃত্যু নিয়ে খেলতে শেখায়; যে বিশ্বাস মানুষ নয়, গ্রন্থ নিয়ে
বিধানের পর বিধান, না হয় বিধানের ব্যাখা নিয়ে বড্ড বেশি
তর্ক করে, জিদ ধরে, গোঁয়ার্তুমি করে সব কিছু পন্ড করে ফেলে;
তুমি প্রস্তুত হও, সঠিকের সংগ্রামে, সঠিক তোমাকেই বেছে নিতে হবে।
পৃথিবী যেখানে আপেক্ষিক, পার্থিব বস্তু কি করে স্থির
বা অনাপেক্ষিক হয়? বিশ্বাসের অনড়তায়, যুক্তিহীনতায়,
প্রশ্নহীনতায় এবং স্নেহ ও ভালবাসাহীনতায় আমার বড় ভয়।


এসো ভাই, এসো বন্ধু, এসো অনুজ হাতে তুলে নাও ভালবাসার গোলাপ
ঠোঁটে তুলে নাও প্রেমের চুমু (কাম নয়), বুকে তুলে নাও দেশপ্রেম-
যে মাটি তোমাকে প্রশ্নহীন দিয়ে যাচ্ছে নিজের সবটুকু, সামান্য
মসনদের জন্য কেন তাকে আবার পোড়াবে, আবার ভেজাবে
আবার তাকে ডুবিয়ে দেবে অশ্রু অথবা অনাকাঙ্খিত রক্তযমুনায়?
এসো হাতে তুলি বই, পেন্সিল, কাগজ, পৃথিবীকে বাসযোগ্য
শান্তির নিরিবিলি আশ্রয় করি, নদীর স্রোতের সাথে পাখিরাও করুক কলরব।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫//সোমবার//৩০ ভাদ্র, ১৪২২//ঢাকা।