পূর্বাপরহীন নারী


ছুটে আসা পশ্চিমা বাতাসে
গাছের শুকনো পাতারা
খসে খসে পড়ে,
ঘরের চালায় নুয়ে থাকা বাঁশের পাতার
বাঁধাহীন কাঁপন
ঝিরি ঝিরি ছন্দ তোলে;
যখন আকাশের কালো মেঘ পুন্ঞ্জীভূত হয়ে
আরো কালো হয়,
শুভ্র জোছনাকে পাইথনের মতো গিলে খায়
আর –জানালার শিক গলে
মুকুলের পাগল করা সৌরভ
ঘুমিয়ে থাকা কিংবা আধেক জেগে থাকা
কোন ষোড়শীর কপালে একেঁ দেয় প্রথম চুমু;
তখন- মনে হয় সবই যেন
কোন নিষিদ্ধ রতি ও স্মৃতি-যুগপৎ।


কালবোশেখীর নাচের ছন্দে
জানালার শার্শিগুলো অস্থির নড়ে ওঠে
আর- সেই কিশোরী তরুণীর প্রথম আহবান
বাতাসে একাত্ম হয়ে প্রান্তর ছাপিয়ে যায়।
স্মৃতির যত পাতা
অতীত কোথায়, ভবিষ্যত বা কোথায়
উলোট পালট হয়ে গিয়ে
একাকার করে ফেলে-সুললিত সেতু বন্ধে।


কখন, কেন?
সে সময় অকারণে চোখে পড়ে অতি চেনা,
কোন পরিচিতার ডায়েরী, যেখানে
ঘুমিয়ে আছে নিঃসঙ্গতার ভার লাঘবের বীজমন্ত্রঃ
‘‘সবারই তো সাথী আছে, আমার কেনো নেই ”
এই কথা গুলো আরো এক শতাব্দী আগে
জানতে পারলে জীবনের রোজনামচাটা
অনেক অন্যরকম হতে পারতো।


এস, এম, আরশাদ ইমাম, ২৬/১১/৯৩ ইং, ১৭২, সুসেহ, ঢাবি
পুনবির্ন্যাসঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ইং, মঙ্গলবার, ০৭ আশ্বিন, ১৪২২/দিনাজপুর।