ব্রক্ষ্মান্ডের শিশু আমি ব্রক্ষ্মান্ডে মিলাবো
আমার দেহের পরমাণু ব্রক্ষ্মান্ডেই বিলাবো
কোটি কোটি তারার বাগান তার একটি তারা
তারা বৃক্ষের পাতায় জমা শিশির বিন্দু ছাড়া
আর কিছু নই আমার দেহ জমাট অশ্রু ধারা
ভেঙ্গে চুরে এই যে দেহ পরম শূন্যে যাবে
তার জন্য এই আয়োজন করেই বা কী হবে!
মিথ্যে এসব বসতবাড়ী মিথ্যে মানব জীবন
মিথ্যে বেঁচে থাকার মানে মিথ্যে জীবন যাপন
মিথ্যে নিয়েই আছি তবু সত্য ফেরি করি
মিথ্যে কালের নিশানটাকে মিথ্যা শূন্যে ধরি।
অস্তিত্বহীন অবস্থানকে এই পৃথিবীর মাটি
আদর করে স্থান দিয়েছে সজ্জা পরিপাটি
দু’দিন বাদেই শয্যা তুলে শূন্য পথে হাঁটা
কেউ জানে না গন্তব্য কে সে মহান ত্রাতা
নিজের মনের গহীন ভিতর অবাক সন্তরণ
বিশ্বাস এক বোধের বৃক্ষ মনের আস্তরণ
সেব নিয়েই মানব জীবন বইছে নদীর মতো
প্রশ্ন যখন প্রশ্নহীন হয়, উত্তর চায় না তো
এক আস্তরণ ঢেকে রাখে পরম বিশ্বটাকে
চোখের সামনে গভীর পর্দা, আঁধার পুষে রাখে
আমিও আছি সেই আঁধারে বাধ্য হয়ে আজো
যাবার সময় হয়ে এলো, হে অনন্ত জাগো!
এই যাত্রা সাঙ্গ হলে আবার ছুটবো আমি
এ ব্রক্ষ্মান্ডের যাত্রা শেষে, অসীমের সন্ধানী।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫; শুক্রবার; ১০ আশ্বিন ১৪২২