তাকে নিয়ে কবিতা আঁকা ভীষণ দুর্বিষহ, ঘোর লাগা
কারণ নিজেই কবি সে-চলমান
তার কবিতার ভিতরে উঠে আসে ঘাস, ফুল,
পাখি ও প্রজাপতি, পরাগ ও প্রপাত।
তার কবিতা জুড়ে থাকে নারী ও প্রকৃতি, ফেরিওয়ালা
চুড়িওয়ালা, সঙ্গীত ও শয়তান, পড়ন্ত বেলার সুর
মধ্য বয়সের সুর, বৃষ্টির ঐকতান।


চোখে ভারী চশমা এঁটে হেঁটে যায় সে কুয়াশার ভিতরে
শেষ হয় না প্রতীক্ষার প্রহর, নি-খবর
একদিন ভুস করে ভেসে ওঠে, যেন জল থেকে জলকুক্কুট
হয়তো তখন মধ্য দুপুর অথবা গভীর রাত;
জিন্স প্যান্ট পরে, পায়ে অত্যাচারিত চটি, দু’টি
তারপর রাতভর হলুদ শিশিরে ভরাপ্রাণ।


বহুদির পর তার ডানার শব্দ শুনি আজ আকাশে
সেই রং নেই, ধূসর বিকেল, অথবা
ফ্যাকাশে আকাশ, মুখ তার দেখি কুয়াশার ভিতরে, পান্ডুর
যেন আরো ঝরে গেছে তার সময়ের ঝাড়বাতিগুলো;
তবু কবিতার সব রং এখনো ধরে আছে ঠোঁটে বা করপুটে
বয়ে এনে ঢেলে দেয় কাব্যের উঠোনে
রঙীন করে তোলে কাব্য বাসর, ভরে তোলে ভাবের আসর।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫; বুধবার; ১৫ আশ্বিন ১৪২২//ঢাকা।