সাঁকোটা বড় হচ্ছে, নদী হচ্ছে ক্ষীণ ধারা,
ওইপারে এক শেয়াল চুপে দিতেছে পাহারা;
রাজহাঁসটা ওপার গেলে মন্ডু ধরবে চেপে,
হাঁসে তো আর পন্ডিত না পা ফেলবে মেপে!


বেলা গেলে পা পড়বে শেয়াল মামার ধারে
সেই আশাতেই শেয়াল বসে আছে ধৈর্য্য ধরে।
কূ দিচ্ছে সব সাঁঝের পাখি হংস বাড়ায় পা
সাঁকো আরো বড় হচ্ছে রাজহাঁস বোঝে না;
এসব দেখে দুরু দুরু পাখি বুকের খাঁচা সব
আঁতকে ওঠে, ডানা ঝাপটায়, করে কলরব।
চিক্কর দিয়ে পাখিরা সব ঠাকরোকোণা ছোটে
রাজহংস তবুও যাচ্ছে গা না ভেসে স্রোতে।


কে বাঁচাবে রাজহাঁসকে বিপদ যে বোঝেনা!
তার জন্য কাব্য হলেও মুখে তা রোচেনা।
আমরা কি এই বৃত্তে বসে হুতাশ করেই যাবো?
বড় সাঁকোর পাশে কবে ছোট্ট সাঁকো পাবো?
নাকি সকল আশার মুখে নুন বালু ছিটাবে?
বয়স নামের হাঁস কি তবু হেঁটেই যাবে নদে?
শুকোয় সময় নদীর ধারা, জীবন মোহনাতে
মিলাবে তার স্বব্ধ চলন, কে পারে ঠেকাতে!


সব বুঝেও বোঝেনা যে তারে বুঝায় কে!
না বুঝেও যে মহাবোদ্ধা ভূূতের জ্ঞাতি সে।
আমার কথা ফুরোলো, নটে গাছটি মুড়োলো
নিবিড় সবুজ বন-বনানী দাবানলে পুুড়োলো।।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
০৪ অক্টোবর ২০১৫; রবিবার; ১৯ আশ্বিন ১৪২২