এখনো সাগরে জোয়ার আসে, বান ডাকে নদী
এখনো পাখিদের মিতালী গাছের সাথে, পাতার সাথে খুনসুটি
এখনো চোখের দৃষ্টি আটকে যায় বনটিয়ার ঠোঁটে
রক্তের ভিতরে নতুন প্রবাহ টের পাই, মৃগনাভীর গন্ধে।


তবু অন্ধের মতো দিন যাপন করি, রক্তের কল্লোলকে
গান শোনাই‘‘রাত হলো নিঝঝুম, চোখ জুড়ে আয় ঘুম’’
সে কী ঘুমায়! সে কী স্বপ্ন দেখে! নাকি ঘুম পাড়ানী গানের গন্ধে
আরো ছুটে যায় ঘুম, ভেজা বেড়ালের মতো চুপ করে থাকে,
সাগরের যতিহীন গর্জন নৈঃশব্দের খোলস পরে, অপেক্ষমান;
গান থামলেই নখর উন্মোচিত হবে, খোলস ঠেলে বেরোবে
গর্জনিত সাগর, ধ্যানভগ্ন ঋষির পূর্বরাগ প্রত্যুষ পাবে।


তুমি এভাবে কাছে আসো, বসো, কিছুটা বলো, কিছুটা ভরো
প্যান্ডোরার বাক্সে, তারপর উঠে যাও শেষ বিকেলের আলো ‍
মুখে চোখে মেখে আর বনজ লতার মতো চুলের অন্ধকারে
জোনাকীর মতো আলোর কণা মুঠো ভ’রে। আমি কেবলই দেখি।  


সময় সব সময় অসময়ই ছিল আমার, আজো যেমন
কতবার তুমি এলে, ফিরে গেলে, আমার সময় তোমাকে
ছুঁয়েও ছুঁলো না, তোমার স্পর্শ আমার আজও আমার কাছে
বেয়ারিং চিঠি হয়ে থাকলো, আর কতকাল এমন পংক্তি!!


না থাক, অনেক হয়েছে, এবার কোরক খোল কুঁড়ি, আজ
আমি রেণু মাখতে এসেছি, ট্রয় থেকে জুলিয়াস সিজার হয়ে,
এসেছি দাবানল হয়ে, শুধু একবার হাত ধরে দ্যাখো কেমন
দিশাহীন জ্বলে উঠি; পুড়ে যাই অবাধ্য স্রোত, উথালি-পাথালি ঢেউ,
পাখির ঠোঁট, অঙ্গার সাধনের এটাই উপযুক্ত সময়।।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়//বিয়াম ফাউন্ডেশন
১১ অক্টোবর ২০১৫; রবিবার; ২৬ আশ্বিন ১৪২২//কক্সবাজার।