আজ নিদাঘের তপ্ত জলে
          বুকের কারুকাজ
ও সখী তোর ডানায় হাসি
          রোদের ঠোঁটে লাজ।


ঝাউ বাগানের সারির ভিতর
          শুভ্র সারস দেখে
বন বিড়ালের মতো এ মন
          চুপিসারে থেকে;
তোর আঙ্গুলের চিহ্ন ধরে
          এগিয়ে জলের ধারে
জলের পিঠে পিছলে আসা
          আলোয় ধরা পড়ে।


ধাঁধিয়ে গেছে চোখের পলক,
          ভিজছি নাজেহাল
সখীরে সেই সমুদ্রস্নান
          আজ হয়েছে কাল।


সখী তোকে, না পাগল নয়,
          বুকের আসন দিয়ে
এই জীবনে উড়তে গেছি
          মাটি আকাশ নীলে।


সখীরে তোর ডানায় সাহস
          কোমল বুকে হাওয়া
এক পৃথিবী ঘুরতে গিয়ে
          আকাশটাকে পাওয়া,
যুগল স্নানের পান্ডুলিপি,
          যুগল সে উড্ডীন
তোর আর আমার টেরাকোটা
          থাক হয়ে রঙ্গীন।


সেই পাওয়াতে আগলে রাখি
          ডানা ক্লান্ত হলে
ও সখী তুই আয়না আমার
          অসীম সুনীল জলে।


উড়ে যাবি দূরের দেশে
          আকাশ ডানা মেলে
মনে কি তোর পড়বে সখী
          কাকে গেলি ফেলে?


জলেতে ঘাই, ঢেউ অভিঘাত,
          ডুব-সাঁতারের খেলা
এক নিমেষে ভুলে যাবি,
          রাত করে একেলা?
বিকেল এলে, দিন ফুরোলে,
          আবীর রাঙা ক্ষণ
সুপর্ণ সব উড়ে যাবে,
          ভেঙ্গে চখার মন।


এমন সময় অকাল কালে
          এই কালিন্দী কূলে
রাধা ছাড়া রমন সঙ্গী
          বেহাগী সুর তোলে।।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
১৩ অক্টোবর ২০১৫; মঙ্গলবার; ২৮ আশ্বিন ১৪২২//ঢাকা।