তোমাদের এই হট্টগোল বা হল্লাহাসির হাটে
আমার মনের মাতাল সময় অবহেলেই কাটে।
এত কথার কথকতায় আমার জায়গা কই!
তবু দু’টো কনুই মেরে পাশেই বসে রই।
হোক না সেটা লিভিং স্যুট বা দোতলার ব্যালকনি
আমি না হয় সেখান থেকেই রাতের তারা গুনি!
না হয় তুমি হেঁড়ে গলায় ঢালছো রসের ঠিলা
আমি না হয় মাতাল কবি, ভাবছি তা রঙ্গীলা।
তুমি যখন টইটুম্বুর হৃদয় রসের টানে
গলা ফেটে গান গাইছো আরব উপাখ্যানে;
তখন আমি তোমার সু্রেই সঙ্গদ করি হাতে
তাতেই যদি সুরের কান্না থামে আচম্বিতে।
খুব কি সেটা মন্দ হবে আশ্বিনী এই রাতে
মাতাল ঘরের ব্যালকনিতে মাতাল পুষ্প ফোটে।
রাত বেড়ে যায় মধ্যরাতে, কুকুর ডাকে কোথায়
মাতাল জাগায় রাতের উঠোন, ঢাকনা খোলা ব্যথায়
যতই তুমি দুঃখ করো, সুখি মনের কাছে
বুঝবে না সে একরত্তি মাতাল কেন হাসে
মাতাল কেন কান্না জোড়ে, কেন কথার খই
মাতাল মুখের ভিতর থেকে, কোথায় তারে থুই!
তোমদের এই আসর শেষে ফিরবে যখন ঘরে
আমায় তোমার সঙ্গে নিও বৈতরণীর পারে।
আমি ছাড়া তোমার এমন সংকটেরই মাঝে
কাকে পাবে আউলা চলায় ভর রাখবার কাঁধে।
এসা বন্ধু, এসো পথিক বিলাসী মন মাঝি
মন দরিয়ার মাতল ঢেউয়ে জীবন রাখি বাজী।।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
১৪ অক্টোবর ২০১৫; বুধবার; ২৯ আশ্বিন ১৪২২//ঢাকা।