ইচ্ছে খুশির কিচ্ছে গুলো দিচ্ছে মনে হানা
দিক না যত খুশি তাদের কে করেছে মানা!
যেমন খুশি ছড়াক তারা পল্লবিত শাখা
বহির্জগত দেখুক যা হয় মনের মধ্যে আঁকা।


ইচ্ছে হলো স্বপ্নগুলো হাসবে অট্টহাসি
আমরা সেটার হুকুম মতো গলা ছেড়ে হাসি।
ইচ্ছে হলো কেঁদেই যাবো সারাটি রাত ভরে
আমরা কাঁদি ইচ্ছে বলে কাঁদতে যেমন করে।
ইচ্ছে যখন চোখ ফেরাতে বলছে নিজের দিকে
অবাক চোখে দেখছি চেয়ে নিজের মুখশ্রীকে।
না হয় ইচ্ছে বলছে ডেকে দেখো জগতটাকে
আমরা তখন পরিপার্শ্ব দেখছি ইচ্ছে চোখে।


ইচ্ছে খুশির কিচ্ছেরা আজ অনেক দুষ্টুমীতে
বললো ডেকে সুমন্তকে আসছে শ্রীলা নিতে
সকাল থেকে মুখশ্রীতে নীলের দ্যুতির আভা
শেভ করেছে, ড্রেস পরেছে, দেখাচ্ছে মারহাবা
দুপুর গেল বিকেল সন্ধ্যা শ্রীলার দেখা নাই
সুমন্তটার সময় খোঁজে বৃন্দাবনের রাই
মধ্যরাতে খবর এলো শ্রীলার ওখান হতে
শ্রীলা গেছে ত্রিবেণীতে হাত রেখে কার হাতে।


তখন থেকে সুমন্তকে কে দেয় যেন তাড়া
বেরিয়ে পড়ে ঘরের থেকে পেরিয়ে সব পাহারা
ত্রিবেনী কৈলাশ ধাম সব পেরিয়ে এসে
দেখে শ্রীলা বসে আছে অক্ষয় ধাম পাশে।
মুখে কোন হাসি বা শোক কিচ্ছুটি নেই লেখা
না থাক তবু রাত প্রহরে শ্রীলার সাথে দেখা।


তারই মুখে বলতে শোনে আসার পথের ধারে
ডাক দিয়েছে সমাজ বদল নতুন স্বপ্ন ভোরে।
তারই ডাকে সাড়া দিতে এই বিলম্ব হলো
সময় যদি ডাক দিয়ে যায় বন্ধ দুয়ার খোলো
নতুন আলোর সন্ধান হোক নতুন দিনের কাজ
যেতই হবে আলোর পথে যুগের দাবী আজ।
এবার তোমার যাবার পালা আমার দু’হাত ধরে
নতুন কোন ইচ্ছে নিয়ে নতুন আলোর ভোরে।


ইচ্ছে খুশি যতই ডাকুক নতুন কিচ্ছে হবে
ছুটে যেতে হবেই তোমার সে কিচ্ছের উৎসবে।
সমাজটাকে বাঁচাতে এই বদলী ইচ্ছে চাই
ভাল বাসি প্রাণের মাটি, প্রেমিক মনের সাঁই।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
১৭ অক্টোবর ২০১৫; শুক্রবার; ০১ কার্তিক ১৪২২//ঢাকা।