কর্তা আছেন, ভর্তি অফিস
বড় কর্তা, মাঝারি কর্তা,
আছেন ছোট, তারচে’ ছোট
সহকারী আর অর্ডারলি
তারাও আসেন রোজ আর্লি
লোকে অফিস গিজ গিজ।


এমন সময় ফোন এলো
ফাইভ ইয়ার প্ল্যান ডকুমেন্ট
আছে তোমার হাতের কাছে?
বলো ওটার কোন পাতায়
এ্যাডোলেসেন্ট-দেরকে নিয়ে
পরিকল্পনা বলা আছে?


বড় কর্তা মাঝের কর্তা
ডাক পাড়েন ছোট কর্তা
ফাইভ ইয়ার প্ল্যানটা আনো
তাড়াতাড়ি বাইর করো
কি লিখেছে বলে ফেলো
এ্যাডোলেসেন্ট চ্যাপ্টারটা।


ছোট কর্তা আঙুল দেখান
তারচে’ ছোট কর্তার দিকে
এই বিষয়টা ওনার ব্যাপার
এসব তেনার নাই নলেজে
চেহারাতে চাপের ছায়া
বুঝা যায় শুকায় কলজে।


ছোট’র ছোটর কোমর ব্যাথা
বড়রা বলেন উইঠা খাড়া
এবার জোরে দে গা ঝাড়া
লাগছে কেমন বেশ তাগড়া?
বইটা খুলে পেজটা দেখাও
হেঁড়ে গলায় লাগান তাড়া।


তাড়ার চোটে সবচে’ ছোট
চিঁড়ে চ্যাপ্টা, মনটা খাটো
তবুও খোঁজেন বইয়ের পাতা
ত্রস্থ আঙুল পান লেখাটা
রিসিভ করেন ওপাশের ফোন
জানিয়ে দেন সঠিক জবাবটা।


এবার অফিস শান্ত ভারী
শুরু হলো আলাপচারী
কিভাবে হয় শেয়ার রেটিং
কোন অফিসে ক’টায় মিটিং
জমি কিনতে কয়টা সিটিং
আহা কী রকমারী!


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
২০ অক্টোবর ২০১৫; মঙ্গলবার; ০৬ কার্তিক ১৪২২//ঢাকা।