একদল ভীরু কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে
রাস্তা দিয়ে না হেঁটে বার বার অন্ধকার পথে চলছে।
অথচ কার্তিকের এই কৃষ্ণপক্ষের রাতে প্রবারণা পূর্ণিমার কিছু আলো
তখনো ঝুলছিল আকাশের চাঁদোয়ার কার্ণিশে,
কিছু দীর্ঘশ্বাস ভাসছিল শীত রাতের কুয়াশার কুচি মাখা বাতাসে;
তার হাতের কসাই-ছুরিটি রাতের মৌনতাকেও অন্ধকারাচ্ছন্নতাকে
ভেদ করে একবার চমকে ওঠে, তারপর
রাতজাগা কুকুরের ম্রিয়মান ডাক ‘কু…উ…কু…উ’ ডেকে ওঠে।


আর একদল ভীরু মানুষ সাহসের লাল জামা গায়ে, কিন্তু
রাত জাগা কুকুরের করুণ স্বরে হঠাৎ বধির হয়ে যায়,
তারপর সেই অন্ধকারের নিশ্ছিদ্র অস্পষ্টতায় নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে
তাদের জন্য বাজারে হঠাৎ চুড়ির মূল্য বাড়ে।


আলোর উঠোন সুনসান পড়ে থাকে, ছায়ারা ধীর পায়ে নড়ে
চলাফেরা করে, মাঝে মাঝে চঞ্চলতা বাড়ে, আবার কমে আসে গতি।
এভাবেই চলছে বেশ কিছুকাল, কবিতার সাইটেও
কবিদের পাঠ প্রবণতায় দেখি তার স্পষ্ট ছায়া-‘‘অদৃশ্য নিরাপদ দুরত্ত্বমতি’’।
এভাবেই বাড়ছে অমানিশা-অন্ধরতি।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
০১ নভেম্বর ২০১৫; রবিবার; ১৭ কার্তিক ১৪২২//ঢাকা।