প্রথমে একরাশ গুলি..ঠা ঠা ঠা..না আর ভাল্লাগেনা
এখন রাত, দিন হলে না হয় পাকিস্তানীদের মতো
কয়েকরাশ ছুঁড়তাম আকাশে, তা-ও হলো না।
খাঁচায় বন্দী শিকারী কুকুরকে গুলি বড় পানসে, টেস্ট নাই।


দলটি বঙ্গভনের ক্লিয়ারেন্স নিয়েই মাঝরাতে প্রবেশ করে
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে, জেলার প্রস্তুত ছিল, লাল টেলিফোনের
শব্দের জোর যে জানে না, সে মানুষ না;
তারপর তারা চিরাচরিতভাবে লিট্‌ল মার্চ করে এগিয়ে যায়
সেল এর দিকে, সেল এর গ্রীলের শিকগুলো, বড় ত্যাঁদোড়,
গুলি গুলো মাঝে মাঝেই এদিক সেদিক ছুটে যাচ্ছিল
রডে বাধা পেয়ে, একজন আগেই পড়ে গেছিল, মরেছে কি?


নাহ্‌ মরে নি। এক সিপাহীর চোখে পড়ে; সাবাস এই না হলে
পাকি চোখ! বেচারা হাঁটু চেপে ধরে দেয়ালে পিঠ ঠেস দিয়ে বসে
নাহ্‌ মিশন সফল হলো না; হল্ট!!সেলের দরজা খোলো!!
জেলার ব্যাবাচ্যাকা খায়, তারপর এক কারারক্ষীর হাতে
সেলের চাবি গুঁজে দিয়ে সিঁড়ির দিকে পা বাড়ায়।


তারপর বেয়নেটের আগায় কী রকম বিদ্ধ হয়ে যায় বাংলার
চারটি বীর পুরুষ-চারটি প্রাণ;
বেয়নটে বিদ্ধ একেকটি যীশু!!
ইসলামের চার খলিফার মতো বাংলার চার খলিফা-
সৈয়দ নজরুল, তাজ উদ্দিন, ক্যাপ্টেন মনসুর আর
কামরুজ্জামান বা হেনা ভাই!
সিপাহী দল মহা-উল্লাসে ফিরে যায়-সফল মিশন। মসজিদে আযান।
বাংলাদেশের বুকের ভিতরে তখন নতুন নদীর প্রবাহ শুরু হয়েছে।


সাহসের কবি, প্রেমের কবি, মুক্তির কবি, বিশ্বস্ততার প্রতীক-
তোমাদের দেহে আবার প্রাণ সন্ঞ্চার হবে, ফিরে পাবে তোমরা
পৃথিবীতে আসবার মহান প্রতিদান।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
০২ নভেম্বর ২০১৫; সোমবার; ১৮ কার্তিক ১৪২২//ঢাকা।
জেল হত্যা দিবস স্মরণে। গভীর রাতের পদাবলী। ভোর ৪:৪৫।