১.


শিশিরের শব্দের মতো ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে হিম যুগ
অনন্ত অন্ধকার কাল, আবার, উঠোন জুড়ে;
তুমি যতই আবেশে, সুখ স্বপ্নে, ভীরুতার লজ্জাবতী চোখ কাঁপিয়ে
ঝুপ করে ডুব দাও প্রতিবাদহীনতার, প্রতিক্রিয়াহীনতার
পঙ্কিলতায়, স্বার্থ চিন্তার পাক-দুষ্ট নর্দমায়,
অন্ধকার তোমাকে ছাড়বে না, অবনীল আলোতে
ঠিকই তোমাকে খুঁজে নেবে, তারপর ছিন্ন ভিন্ন করবে
আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগের ঠোঁটে, এঁকে দেবে অমোচনীয় চুম্বন।


জাগিয়ে তোলো নিজেকে আত্মার ভিতরে, বাইরের উদ্দীপনা
তোমার জাগরণকে স্থায়ীত্ব দেবে না।
হাতে তুলে নাও অবিনাশী কলম, খঞ্জরের বিরুদ্ধে উর্ধ্বে তুলে ধরো
চেতনার মারণাস্ত্র লক্ষ্যভেদী।


২.


আঁধার রাত কেটে গেল বলে, কেবল ছিঁটেফোঁটা কাল মেঘ
অনেক আগেই কেঠে গেছে ভয়, তবু মাঝে মাঝে ফুঁসে ওঠে
বৃথা আক্ষেপে, ছোটায় নিকৃষ্ট শব্দ শেল, ফাঁপা আতঙ্ক-ত্রাস।
মেঘও কেটে যাবে, আঁধারও, তবে মাঝে বয়ে যাবে
ঝড়ের মতো আরো কিছু অনাকাঙ্খিত ক্ষয়।
তবুও নেমে যাবে বিষবাষ্পের ঘণীভূত মেঘ, ঝরবে বৃষ্টি
আগামীর সকালে হাসবে নতুন সূর্য, অনেক কলঙ্কহীন।


তবু কিছু থেকে যাবে, আঙ্গুলের ফাঁক গলে, নতুন প্রজম্মের জন্য
দায়ভার থেকে যাবে, এক প্রজন্মই সব করে যাবে,
স্বাধীনতা আর বিরোধীতার বিচার,, তাতো নয়!
পরবর্তী প্রজন্মেরও আছে দায়। জয় মৃত্যু ভয়!
আয়, রে আলোর সূর্য আয়। উদ্ভাসিত কর নতুন সময়
দূর কর কালো অধ্যায়, হিম যুগের এই কষ্টের শিলালিপি।।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//সময়
২২ নভেম্বর ২০১৫; শনিবার; ০৭ অগ্রহায়ণ ১৪২২//ঢাকা।


ইনশাল্লাহ্‌ একটি আঁধার কাটল কি ১২.০০ টায়! হ্যাঁ রাত ১২.৪৫ সেই মাহেন্দ্র ক্ষণ!!