নীরবে বয়ে যায় রক্তস্রোত, বুকের ভিতরে হাঁস ফাঁস
আমি ভালোবাসি স্বেদবিন্দু, তুমি বনফুল আর ঘাস।


প্রস্রবনের দিনগুলো অবহেলায় গড়ায় সায়াহ্নের দিকে
পূবের আকাশের উজ্জ্বল আলো ক্রমশঃ হয়ে আসে ফিকে।
আমি, সময়ের দিকে চেয়ে চেয়ে ঝাপসা করে ফেলি দৃষ্টি
তুমি এখনো পানকৌড়ীর মতো গহীন জলের অতল কৃষ্টি।


অবহেলার পালকগুলো ঝরে একে একে হারিয়ে যায়
মুখ মাথা দেহ অথবা শব;
তুমি এখনো তোমার সেই প্রাচীন সুরমন্ডলে সুর তোল
কী দারুণ পীড়নের কলরব।
আমার উঠোনে যদি কাক, চিল, বাজপাখী অথবা শকুন
খেলা করে তোমার সামনে;
তুমি কেমন করে বুদ্ধমুনী সাজো, তপ্ত জ্বলন্ত উনুনকে
হিমবাহে ভাসাও আনমনে।


আমার আকর্ণ বিদারী উচ্চারণ বিন্দুমাত্র শব্দও তোলেনা
তোমার দুর্বিনীত মৌনতার অশ্লীল হেঁয়ালী ঝুল বারান্দায়।
আমি যদি অন্তর্হিত হই, সব নিশ্চলতাকে কবর দিয়ে
কিছুই কী হবে না তোমার দৈনন্দিন এই রোজ নামচায়।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//স্খলিত সময়
৩০ নভেম্বর ২০১৫; সোমবার; ১৬ অঘ্রাণ ১৪২২//ঢাকা।