ফুল থেকে এক এক করে সব পাপড়ি ঝরছে
শ্রীহীন পুষ্পরাজি এখনো কি মুগ্ধ করবে মানসকুল!
এতদিন দুধের মতো ফেননিভ দু’টি ঠোঁট নাড়িয়ে
খুব করে উচ্চারণ ছিল বাজার জুড়ে
                     ‘‘আমরা নিষ্পাপ শিশুতোষ’’
                     ‘‘আমরা অপাপবিদ্ধ দেবতূল্য শিশু’’
আজ তারা কেমন ঘুম-ভাসি বেড়ালের মত
মিউ মিউ করে নত কম্পাঙ্কে ধবনি তোলে
                     ‘‘পাপ আমার হয়নি, তবে..
                      তোমার বিচারে পাপী হলে
                     বয়স বিচারে দন্ড কমিয়ে দাও’’
আহা! বাঙ্গালীর আজ কত দায়!
ফুল রূপী মাকাল পুষ্পের পান্ডুর রঙে
এখনো যদি ভুলো মন জাতিকে আবার ভুলানো যায়!
এখনো যদি দরদী কণ্ঠে ‘‘ক্ষ্যামা দ্যাও গো!’’-
জপমন্ত্রের মতো আওড়ানোর ব্যবস্থা করা যায়।


ফুল নামী ভুলের গা থেকে একে একে সব বস্ত্র খসে পড়ছে,
বেরিয়ে পড়ছে বিকৃত ধর্মাচারী, যৌনাচারী বা ব্যাভিচারী বপু,
আমি সূর্য্যর প্রত্যাশায় কবে থেকে প্রার্থনারত, একদিন
নিশ্চয়ই আসবে আলোর ভোর, গলে পুড়ে ধ্বংস হবে
সেই ভুলের নামাবলী; বাংলাদেশ হবে
চিরায়ত বাংলাদেশ-অবশ্যম্ভাবী।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//স্খলিত সময়
০৩ ডিসেম্বর ২০১৫; বৃহস্পতিবার; ২২ অগ্রহায়ণ ১৪২২//ঢাকা