ঠিক চলে যাবো, জানি যেতে হয়, পারে না ঠেকাতে কেউ
তবু বারে বারে দু’চোখ উছলে ওঠে সমুদ্র ঢেউ,
নোনা জলে ভেজে রক্ত মাংসের শরীর নাকি সে মন
বেঁচে থাকবার প্রবল খায়েশ, শেষটায় করে পণ।


তখন শরীর হাল-ভাঙ্গা আর দেহতরী ডুবি ডুবি
অষুধে-অসুখে সারা বারো মাস যমে-দেহে লুটোপুটি,
ঔষধ খাও, ইনজেকশান নাও, নিয়ম করে ফুটিয়ে
জীব্রাইল আর অাযরাইলের বোঝাপড়া চলে চুটিয়ে।


চারপাশে যারা করে ঘোরাফেরা তাদেরও অচেনা লাগে
ঘুমের ভিতরে স্বপ্নেরা যেন ঘুম থেকে ওঠে জেগে
জেগে উঠে দেখি চেনা চরাচর লাগছে অচেনা খুব
বুকের ভিতরে চুপকথা শুনি মন কাঁদে উজবুক।


আয়োজন আছে প্রয়োজন নেই, নীরবে লাগেজ প্যাক
মন পড়ে থাকে প্রিয়দের ভীড়ে, দেহ ঘরে কাম-ব্যাক
একদিন ঠিক জীব্রাইলের অনুমতি যাবে মিলে
আজরাইলের ডানার ছায়া দেহমন খাবে গিলে।


প্রিয় পরিজন, প্রিয় পরিপাশ, প্রিয় যত কিছু আছে
সব কিছু ছেড়ে চলে যাবো আমি সবচে’ প্রিয়র কাছে,
তাকে চিনি না, তাকে জানি না, নয় সে তেমন কিছু
তবু তার জন্য এ যাত্রা শুরু, যার সন্ধানে নেবো পিছু।


আর কিছুদিন সময় পেতাম যদি পৃথিবীর মাঠে
চেষ্টা করে দেখতাম কিছু করার কি বাকী আছে!
দেহ আর মন মধুর সে মিলন প্রস্থানে প্রস্তুত
চলে যেত তাই হচ্ছে আমায়, বিদায় হে নিন্দুক।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//স্খলিত সময়
০৫ ডিসেম্বর ২০১৫; শনিবার; ২১ অঘ্রাণ ১৪২২//ঢাকা।